হতাশা অত্যন্ত মারাত্মক বিষয়। প্রিয়জনের থেকে দূরত্ব মানসিক শান্তি নষ্ট করে। দীর্ঘকালীন দূরত্ব বিপজ্জনকও হতে পারে। হতাশা শারীরিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা না করা হলে এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
হতাশার লক্ষণগুলো সনাক্ত করা এবং নিজের গতিবিধি লক্ষ্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হচ্ছেন কিনা তা জানতে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। জেনে নিন সেগুলো-
কম ক্ষোভ
হতাশা মেজাজ খিটখিটে করে দেয়। এতে আবেগের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীন রাগ এবং উগ্রতা দেখা যায়। হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তির যৌক্তিকভাবে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তারা তাদের ক্রিয়াকলাপগুলোর ব্যাখ্যা করতে অক্ষম হয়। তবে হতাশা থেকে পুনরুদ্ধার করা শুরু করলে খুব অল্প বা কোনও ক্রোধের অভিজ্ঞতা পাবেন না।
কম বিরক্তি
সহজে বিরক্ত হওয়া হতাশার আরেকটি লক্ষণ। হতাশা থেকে সেরে উঠতে শুরু করলে মানুষের বিরুদ্ধ মতামতের পক্ষে উন্মুক্ত থাকবেন এবং বিরক্তি প্রকাশের পরিবর্তে সংলাপে প্রস্তুত থাকবেন।
মজার ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ
হতাশা থেকে বের হলে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি পাবেন। আপনার শখ বা শৈল্পিক প্রতিভার প্রতি ঝোঁক দেয়া কিংবা আপনার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সাথে বেড়াতে যেতে আনন্দ পাবেন।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায়
হতাশা আমাদের অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করতে পারে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি তার মধ্যে একটি। হতাশায় নিজের এবং চারপাশের মানুষের যত্ন নেওয়া হয় না। তবে এটা থেকে বের হলে নিজের এবং আপনার চারপাশের মানুষের দেখাশোনা শুরু করবেন।
নিজের খাবার প্রস্তুত করা
দুঃখ, উদ্বেগ এবং হতাশা সবই মানসিক এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে। হতাশা মানুষকে অলস করে তোলে এবং জীবনযাত্রার পছন্দগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। হতাশায় না খেয়ে থাকা, বাইরের খাবার খাওয়া, রান্না এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। যা স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে একবার হতাশা থেকে নিরাময় শুরু করলে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। নিজের খাবার প্রস্তুত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিষয়ে আরও উৎসাহী হবেন।