অনিয়মিত পিরিয়ড বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে এবং সেগুলোর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত। বেশিরভাগ মেয়েদের ৪ থেকে ৭ দিন পিরিয়ড চলে। সাধারণত পিরিয়ড ২৮ দিন পর পর হয়। তবে এটি ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেও হতে পারে। স্ট্রেস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার, পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম এবং এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। কিন্তু এই অনিয়মগুলো কি সর্বদা উদ্বেগের কারণ? জেনে নিন-
ডাঃ সিদ্ধান্ত ভর্গবা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দেরী বা শুরুর দিকে শুরু হলে এটি সর্বদা উদ্বেগের কারণ নাও হতে পারে। তিনি জিজ্ঞেস করেন, আপনার কী কখনও কখনও চক্রটি ২৮ দিন পর আবার কখনও কখনও এটি ৩০ দিন পর হয়? কিংবা কখনও কখনও এাট পাঁচ দিন এবং কখনও কখনও তিন দিন স্থায়ী হয়?
তিনি বলেন এমন হলে এটি খুবই সাধারণ বিষয়। ওজন হ্রাস, স্ট্রেস, মদ্যপান এবং ঘুমের অভাবের কারণে আপনার পিরিয়ড চক্র এক বা দুই দিনের মধ্যে সরে যেতে পারে। তবে এর বাইরে পরিবর্তন অনুভব করলে কেবল তখনই এটি উদ্বেগজনক এবং আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ডাঃ সিদ্ধান্ত ভর্গবা আরও বলেন, যদি আপনার পিরিয়ডের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সামান্য পরিবর্তন অনুভব করেন, যেমন উপরে উল্লিখিত পরিবর্তনগুলোর মতো তবে নিয়মিত অনুশীলন এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়া, জাঙ্ক ফুড এবং শর্করাযুক্ত খাবার ছেড়ে জীবনযাত্রার পরিবর্তন করুন। এতে আপনার পিরিয়ড চক্র নিয়মিত হবে প্রাক পিরিয়ড সিনড্রোম (পিএমএস) লক্ষণ হ্রাস পাবে।