নখের এই সমস্যার জন্য প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী ফাংগাসের আক্রমণ। মানবদেহে স্বাভাবিকভাবেই ফানগাই বা ছত্রাক থাকে। তার মাত্রা যখন বেশি হয়ে যায়, তখনই মূলত ইনফেকশনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে থাকে।
অনিকোমাইকোসিস (Onychomycosis) হলো খুবই কমন ফাংগাল ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের ফলে হাত-পায়ের নখ খুব সহজেই আক্রান্ত হয় এবং নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। আজকের ফিচারে হাত ও পায়ের নখের ফাংগাল ইনফেকশনের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি বিভাগের মতে, নখের ফাংগাল ইনফেকশনের আক্রমণ হয়- বদ্ধ, গরম ও অতিরিক্ত স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার ভেতর দীর্ঘসময় থাকার কারণে। এছাড়া প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি সময় হাত ও পা ভেজা রাখলেও এই ইনফেকশন হবার সম্ভবনা থাকে।
১. নখের ভেতরে ফাঁকাভাব তৈরি হওয়া।
২. নখের দুই পাশের কোনা ভেঙে যাওয়া।
৩. নখের সম্মুখভাগ কিংবা নখের অর্ধেক অংশ ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে যাওয়া।
৪. নখের চারপাশের ত্বক ফোলা ও খসখসে হয়ে ওঠা।
৫. বারংবার নখ ভেঙে যাওয়া।
৬. নখে বাজে গন্ধ দেখা দেওয়া।
৭. ক্ষেত্র বিশেষে নখে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া।
ফাংগাল ইনফেকশনের চিকিৎসার জন্য বেশ লম্বা সময়ের প্রয়োজন। দু-একদিনের চিকিৎসায় কোন ইনফেকশনই সম্পূর্ণ সেরে যায় না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি হাত ও পায়ের সঠিক যত্ন ও সঠিক ওষুধ গ্রহণ ও ক্রিম ব্যবহারে ধীরে ধীরে ইনফেকশন সম্পূর্ণ দূর করা সম্ভব।
১. থালাবাসন ধোয়ার সময় হাতে প্লাস্টিক কিংবা রাবারের তৈরি গ্লভস পরে নিতে হবে।
২. পানি ব্যবহারের পর দ্রুত হাত ও পা শুকিয়ে নিতে হবে।
৩. নিজের যত্ন নেওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতি মাসে অন্তত দুইবার মেনিকিউর ও পেডিকিউর করার চেষ্টা করতে হবে।
৪. কমদামী ও ননব্র্যান্ডেড নেইলপলিশ ব্যবহার এড়িয়ে যেতে হবে।
৫. যথাসম্ভব আলো-বাতাস যুক্ত ও খোলামেলা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।