রসুন প্রতিটি রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রায় প্রতিটি খাবারেই রসুনের উপস্থিতি থাকে। এটির তীব্র সুগন্ধ রয়েছে যা খাবারের স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও রসুনের রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। রসুন যুগ যুগ ধরে চিকিৎসা উপাদান হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি কাঁচা, ভাজা, কিংবা যেভাবেই খান না কেন সবকিছুতেই বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
রসুনকে ওষুধি গুণাবলির পাওয়ার হাউজ বলা হয়। ইউএসডিএ অনুসারে, প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে ১৫০ ক্যালরি, ৩৩ গ্রাম কার্বস এবং ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি দ্বারা সমৃদ্ধ। আসুন রসুনের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো জেনে নেই-
রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন বিষক্রিয়া বাইরে বের করে দেয় এবং আমাদের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এটি আমাদের শীত, ফ্লু এবং বিভিন্ন মৌসুমী রোগ থেকে রক্ষা করে।
রসুনে অ্যালিসিন রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি রোধ করে।
রসুন রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। যা ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে গ্লো করতে সহায়তা করে।
যদিও, রসুনকে একাধিক উপায়ে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা রসুন খেলে ওষুধি গুণাগুণ বেশি পাওয়া যায়। তবে এর তীব্র গন্ধের কারণে অনেকেই কাঁচা রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলে। কাঁচা রসুনের উপকার পুরোপুরি পেতে খেতে পারেন রসুনের চিপস। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন রসুনের চিপস!
সাধারণত রসুনের চিপস রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। রসুনের কোয়াগুলো পাতলা টুকরো টুকরো করে কেটে তারপরে এগুলো একটি প্লেটে ছড়িয়ে কমপক্ষে ৫ দিন শুকানোর জন্য সরাসরি সূর্যের আলোতে রেখে দেয়া হয়। তবে এই প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ এবং সময়সাপেক্ষ।
তবে দ্রুত এবং সহজ প্রক্রিয়া রয়েছে যা আপনাকে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে রসুনের চিপস প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে। প্রথমে রসুনের কোয়াগুলো কেটে নিন। একটি বেকিং প্যানে তেল ব্রাশ করে রসুনের টুকরো গুলো রেখে উপরে আরেকবার তেল ব্রাশ করে দিন। এরপর এতে কিছু লবণ ছিটিয়ে একটি ওভেন বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ৫ মিনিট রোস্ট করুন।
রসুনের চিপস এয়ারটাইট জারে সংরক্ষণ করুন। দিনের যে কোনও সময় এটি খেতে পারেন।