লোক বিশ্বাস অনুসারে, চাঁদ আমাদের স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং আচরণকে প্রভাবিত করে। চাঁদের প্রভাব মানুষের জীবনে মৃত্যু পর্যন্ত রয়েছে। চাঁদ আমাদের শরীরে যে সমস্ত প্রভাব ফেলে সেগুলো আজ জেনে নিন।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রকাশিত একটি সুইস সমীক্ষায় চাদঁ ঘুমকে প্রভাবিত করে। হাইপোথিসিস অনুসারে, চন্দ্র পর্বের সময় চাঁদের আলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। ফলে পূর্ণিমার চারদিন প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাভাবিক ঘুম ব্যাহত হয়। এছাড়াও ৫,৮০০ শিশুদের উপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পূর্ণিমার সময় শিশুরা পাঁচ মিনিট কম ঘুমায়।
পূর্ণিমা চলাকালীন সময়ে লিভার এবং কিডনির রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। যদিও এটির ব্যাক আপ করার জন্য কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই।
মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, পূর্ণিমা চলাকালীন সময়ে মানুষের মধ্যে ১.৮% হিংস্র সিজোফ্রেনিয়ার বৃদ্ধি ঘটে।
গবেষণা অনুসারে, সুপার মুনের সময়ই ডাক্তাররা বেশি সংখ্যক জন্মের রেকর্ড করেন।
২০১১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৮২৬ জন মেয়ের প্রায় ৩০ শতাংশের পূর্ণিমার সময়কাল পিরিয়ড হয়।
২০১৩ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, পূর্ণ চাঁদ থাকার সময় সন্ধ্যার দিকে জরুরি হার্টের অস্ত্রোপচার করা রোগীদের মৃত্যুর হার কম ছিল। পূর্ণিমার এই সময়টাকে পুনরুদ্ধার সময়কালও বলা হয়।