কয়েক মিলিয়ন মানুষ ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছে। সবাই ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক এবং তাদের ভ্যাকসিনের অভিজ্ঞতা নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করছে। ডায়েটও ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণে পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার অনেকে হাইড্রেটেড থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেনে নিন করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার আগে ও পরে কী খাওয়া বা পান করা উচিত এবং কী উচিত না-
হাইড্রেটেড থাকা ভালো স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। বিশেষত করোনার ভ্যাকসিন নিলে বেশি বেশি পানি পান করা এবং হাইড্রেটিং ফল খাওয়া। হাইড্রেটেড থাকলে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং ভ্যাকসিনের নেয়ার ফলে সুস্থ বোধ করতে সহায়তা করবে।
টিকা দেওয়ার পরে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেকেই অনুভব করেন। যেমন, জ্বর, ক্লান্তি থেকে শুরু করে শরীরের ব্যথা এবং ইনজেকশনের জায়গায়ও ব্যথা হতে পারে। তাই এই সময় হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অবশ্যই অ্যালকোহল সেবন এড়ানো উচিত কারণ এটি ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। যা এই সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোকে তীব্র করতে পারে। এছাড়াও, অ্যালকোহল গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যালকোহল সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, এই মহামারী চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যকর শরীর নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস জরুরী। এ কারণেই আপনি যখন করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এবং উচ্চ মাত্রায় ক্যালোরিযুক্ত প্রসেসড ফুডের চেয়ে ফাইবার সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ও শস্যযুক্ত খাবার খাবেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সুস্থ শরীর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিন নিলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। জার্নাল অফ ক্লিনিকাল স্লিপ মেডিসিনে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন যা স্ট্রেস এবং উদ্বেগের কারণ।
ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে এবং পরে ডায়েটে পরিবর্তন করবেন না। অস্থিরতা ভ্যাকসিনেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হ্রাস করা যেতে পারে।