খাদ্যভাস আমাদের শরীরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সঠিক খাদ্যভাস সুস্থতার চাবিকাঠি। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনা মহামারী অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে।
করোনা মহামারীর দীর্ঘকালীন প্রভাব সম্পর্কে একটি নতুন গবেষণা অনুসারে ছয়টি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস দায়ী। সেগুলো হলো-
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, খাদ্যভাস পরিবর্তনের ছয় মূল থিম রয়েছে। যেমন-অমনোযোগ সহকারে খাওয়া; অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাওয়া; খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি; ডায়েট করার ক্ষেত্রে খুবই সীমিত খাওয়া; এবং প্রতিযোগিতা করে খাওয়া।
গবেষকরা বলেছেন যে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাসের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১০,২০০ মানুষ মারা যায়। যেটা প্রতি ৫২ মিনিটে একজন ব্যক্তি।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষক মেলিসা সিমোন বলেছিলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের মধ্যে খাদ্যভাসের কারণে সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার রয়েছে। তাই, মহামাররীতে বিশৃঙ্খলভাবে খাওয়ার আচরণের পরিবর্তন অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইটিং ডিসঅর্ডারস এ প্রকাশিত গবেষণার জন্য এই দলে ৭০০ জনেরও বেশি ব্যাক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষণার লক্ষ্য ছিল করোনা মহামারীর সময় মানসিক চাপ, আর্থিক অসুবিধা এবং খাওয়ার আচরণের পরিবর্তনের মধ্যে সম্ভাব্য গুণগত এবং পরিমাণগত তথ্য বিশ্লেষণ।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ চরম অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। ৫৩ শতাংশের মধ্যে চরম অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস কম ছিল এবং ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর খাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গবেষণায় প্রকাশিত ফলাফল, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, হতাশা এবং মাঝারি বা চরম আর্থিক অসুবিধা অস্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্পর্কিত।