রোজা মানেই ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপসহ নানান মুখরোচক খাবারের সমারোহ। এসব খাবারের সঙ্গে যদি ভিন্ন স্বাদ যোগ হয়, তবে মন্দ হয় না কিন্তু। সেরকমই দারুণ মজার একটি খাবার নাম ‘হাফমুন পাই। নামটি যেমন আকর্ষণীয়, খেতেও দারুণ।
তেল
কাপ পেঁয়াজ
মরিচ কুচি
মুরগির কিমা
গাজর কুচি
বরবটি কুচি
লবণ
স্প্রিং ওনিয়ন
ধনিয়াপাতা কুচি
হোয়াইট সস
বাটার
চিনি
ডিম
ব্রেডক্রাম্ব
ময়দা
প্রথমে ভেতরের পুরটি তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য একটি প্যানে দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজগুলো ট্রান্সপারেন্ট হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজ ট্রান্সপারেন্ট হয়ে গেলে দিয়ে দিবেন কুচি করে কাটা একটি কাঁচা মরিচ। পেঁয়াজ ও মরিচ কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে এতে দিয়ে দিতে হবে মুরগির কিমা। এর রঙ সাদা হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
কিমার রঙ পরিবর্তন হলে দিন গাজর, বরবটি কুচি এবং স্বাদমতো লবণ।
চিকেন থেকে পানি না শুকানো পর্যন্ত ভেজে নিন। পানি শুকিয়ে গেলে দিয়ে দিন স্প্রিং ওনিয়ন এবং ধনিয়াপাতা কুচি। সবশেষে হোয়াইট সস দিয়ে মাখো মাখো হলে নামিয়ে নিন।
রুটির ডো তৈরি করার জন্য একটি হাঁড়িতে এক টেবিল চামচ বাটার দিয়ে মেল্ট করে নিন। এখন এতে পৌনে এক কাপ পানি, এক টেবিল চামচ চিনি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিন।
পানিটা ফুটে উঠলে দিয়ে দিন এক কাপ ময়দা। ভালোভাবে নেড়ে ডোর ময়দা সিদ্ধ করে নিতে হবে। মিশ্রণটি রেডি হলে এটা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে মসৃন না হওয়া অব্দি। এবার ডো একটি ভেজার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। এবারে একটি ডিম ফেটিয়ে নিন আর নিন ব্রেডক্রাম্ব। কোটিংয়ের কাজে এগুলো ব্যবহার করতে হবে।
হাফমুন বা অর্ধচন্দ্র তৈরির জন্য শুরুতে একটি রুটি তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এর একপাশে দিয়ে দিন আগে থেকে বানিয়ে রাখা চিকেন স্টাফিং বা পুর। এবার ওপর থেকে একটা ভাজ দিয়ে নিন।
এরপর একটি কাটা চামচ দিয়ে চারপাশ কেটে কাটা অংশে নকশি করতে পারেন মন মত। এবার ফেটানো ডিমের মধ্যে হাফমুন পাই চুবিয়ে এরপর ব্রেডক্র্যাম্বের মধ্যে গড়িয়ে নিন। এভাবে সবগুলো হাফমুন পাই তৈরি করে নিন। ভেজে নেওয়ার আগে আধা ঘণ্টা এগুলো ফ্রিজে রেখে দিন সেট হওয়ার জন্য।
এবার হাফমুন পাইগুলো ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন একসঙ্গে বেশি দিয়ে দেবেন না। এতে করে তেলের তাপমাত্রা কমে গিয়ে ভেঙে যেতে পারে। এগুলোর রঙ গোল্ডেন হয়ে গেলে তুলে নিতে হবে। অর্ধচন্দ্রের মতো দেখতে হাফমুন পাই ইফতারে এনে দেবে ভিন্ন স্বাদের আমেজ।
মুচমুচে ও ক্রিমি স্বাদের মুখরোচক খাবারটি এককথায় দারুণ। আপনারা চাইলে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক এই স্ন্যাক্সটি।