করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পড়া, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস বর্তমানে ডাবল এবং ত্রিপল মিউট্যান্ট হয়ে দাপাচ্ছে গোটা বিশ্বে। বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ রোধ করার জন্য স্তরবিশিষ্ঠ মাস্ক বা ডাবল মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ করোনার নতুন স্ট্রেন আরো বেশি সংক্রামক।
সম্প্রতি জোড়া মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। একই কথা বলেছেন আমেরিকার সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচিও। বিজ্ঞানীদের মতে, ডাবল মাস্ক কেবল শক্তিশালী সুরক্ষাই দেয় না এটি রোগজীবাণু প্রতিরোধ করে সংক্রমণ রোধ করে। সমীক্ষা অনুসারে, ডাবল মাস্ক সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করে এবং তীব্রতার হারকে ৮৫%-৯৫% পর্যন্ত কমাতে পারে।
সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস আটকানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরি। তবে পরার সময় কানের পিছনে পেঁচিয়ে যদি পরা যায় তবে মাস্ক মুখে আরো চেপে থাকে। এতে ভাইরাস আটকানোর ক্ষেত্রে কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তেমনই একটা মাস্কের উপর আরেকটা মাস্ক পরলে শরীরে ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনাও কম হয় বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হলেও অনেকেই এখন একটা সার্জিক্যাল মাস্কের উপর আরেকটা কাপড়ের মাস্ক পরছেন।
যে কোনও মাস্ক একটার উপর আরেকটা পরে নিলে চলবে না। দুটি কাপড়ের মাস্ক পরলে কোনো লাভ নেই। একটা সার্জিক্যাল মাস্কের উপর আরেকটা কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে। দুটি সার্জিক্যাল মাস্কও একসঙ্গে পরতে যাবেন না। তাতে শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। আর এন৯৫ মাস্ক দুটি পরা যায় না। এন৯৫ মাস্কের উপর অন্য কোনো মাস্কও পরার প্রয়োজন নেই।