হার্টের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শরীরের অন্যতম অপরিহার্য অঙ্গ। হার্ট থেকেই অন্য সমস্ত অঙ্গতে ব্লাড পাম্প হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, স্থুলত্ব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অ্যালকোহল এবং তামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। যদিও বয়স হৃদরোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ। তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলে যুবকেরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি রোধে হার্টের যত্ন নেওয়া জরুরি।
সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন ডাবের পানি, লেবু পানি, বিভিন্ন ফলের স্মুদি এবং স্বল্প চিনিযুক্ত ঘরে তৈরি বিভিন্ন পানীয় পান করে হাইড্রেড থাকুন।
ব্যায়ামের ফলে ধমনীতে প্লাক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করে। হার্ট সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন, হাঁটতে যাওয়া, পুশ-আপ বা সিট-আপ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মতে, প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০-৩০০ মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপ বা ওয়ার্কআউট করা উচিত।
স্ট্রেস রিলিজ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপের সাথে যুক্ত। শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন এবং বিভিন্ন মেডিটেশনের মাধ্যমে স্ট্রেস রিলিজ করা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ বর্তমানে খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলর ব্যর্থতা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এইজন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট গ্রহণ করা উচিত যা উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করতে সহায়তা করে।