মাশরুম প্রেমীদের জন্য মুখরোচক খাবার গার্লিক মাশরুম। গার্লিক মাশরুম আমাদের দেশের অহরহ মেন্যু নয়। পুষ্টিতে ঠাসা ভীষন লাইট এই খাবারটি!
মাশরুমের প্রোটিন অতি উন্নতমানের যা আমাদের জন্য ভীষন উপকারী। মাছ, মাংস, ডিম প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হলেও এতে চর্বি থাকায় তা অতি মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। আর মাশরুমের প্রোটিনে-ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অতি স্বল্প।
মাশরুম কোলেস্টেরল জমতে তো দেয়ই না বরং এতে আছে কোলেস্টেরল ভাঙার উপাদান। এমনকি রেগুলোর মাশরুম খেলে শরীরে বহু দিনের জমানো কোলেস্টেরলও ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়। সহজ কথায় মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের এমন সমন্বয় আছে যা শরীরের ইমিউন সিষ্টেমকে উন্নত করে।
বাটার ৪ টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ
বাটন মাশরুম,
পেঁয়াজ কুচি
রসুন কুচি - ২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
চিলি ফ্লেক্স স্বাদ মতো
লবণ স্বাদ মতো
ব্ল্যাক পেপার স্বাদ মতো।
লেমন জুস
সামান্য সয়াসস
প্রথমে হাড়িতে দিয়ে দিন বাটার এবং অলিভ অয়েল। বাটারের সাথে সামান্য অলিভ অয়েল মিক্স করার ফলে মাশরুমগুলোর আউটসাইডকে হাল্কা ক্রিসপি ভাব এনে দিবে আবার বাটার থাকাতে এটা পুড়েও যাবেনা ।
বাটার মেল্ট হয়ে গেলে এখন দিয়ে দিন পেঁয়াজ এবং রসুন কুচি। এগুলোকে হাল্কা ব্রাউন করে ফ্রাই করে নিন। পেঁয়াজটা অপশোনাল ভালো না লাগলে স্কিপ করতে পারেন।
ব্রাউন কালার চলে এলে দিয়ে দিন মাশরুম। কিছুক্ষণ ফ্রাই করে নিতে হবে। একটু বড় সাইজের মাশরুমগুলো কেটে অর্ধেক করে নিতে হবে। দিয়ে দিন স্বাদ মতো লবণ এবং ব্ল্যাক পেপার।
ক্যানের মাশরুম হওয়াতে এটা রান্না হতে সময় লাগে না। দিয়ে দিন ধনিয়া পাতা কুচি এবং স্বাদ মতো চিলি ফ্লেক্স। চুলার ফ্লেম রাখুন মিডিয়াম। সব একসাথে মিক্স করে নিন। আর কিছুক্ষণ ফ্রাই করে নিতে হবে। এখন দিয়ে দিন সামান্য সয়াসস। আবারও সব মাখিয়ে নিন।
গার্লিক মাশরুম নামানোর আগে দিয়ে দিন এক স্লাইস ফ্রেশ লেবুর রস। লেবুর রসের সাথে মাখিয়ে তুলে নিন চুলা থেকে।
এটা খেতে কতটা ডেলিসিয়াস তা ঠিক ব্যাখ্যা করা যাবে না। সামনে যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণই মনে হবে একটু খাই! সকাল-দুপুর বা রাতে সব বেলাতেই খাওয়ার জন্য একদম উপযুক্ত একটি খাবার।
ব্রেড টোস্ট অথবা গার্লিক টোস্টের সাথে খুব সাধারণভাবে এটা পরিবেশন করা যায়। তবে আরও একটু রিচ করতে চাইলে গ্রিলড ফিস বা চিকেন, সাথে এক গ্লাস ফ্রেস জুস অথবা চা-কফি ব্যাস একেবারেই সোনায় সোহাগা।