হিম হিম হাওয়ার সঙ্গে ত্বকে টান পড়ছে। আবহাওয়া বদলের এই সময়টাতে হুটহাট অসুস্থতা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারণ, আবহাওয়ার এই বদলের সময়ে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল হয়ে পরে। ফলে ঠাণ্ডা কিংবা জ্বরের মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয় অহরহ।
নিজেকে এই সময়টাতে সুস্থ রাখার জন্য, কিছু সাধারণ নিয়ম মানার পাশপাশি খেতে হবে এমন কিছু উপকারি খাদ্য উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। জেনে নিন এমন কয়েকটি খাবারের নাম।
মাশরুমে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদানসমূহ। যা শরীরকে ভাইরাল ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে লড়ায়ের জন্য শক্তি প্রদান করে। মাশরুম ফ্রাই কিংবা সবজী ও স্যুপের সঙ্গে মাশরুম রান্না করে খেতে পারেন।
আমাদের প্রায় সকল রান্নায় কমবেশি যে উপকরণটা ব্যবহার করা হয় সেটা হলো রসুন। আবহাওয়া বদলের এই সময়টাতে চেষ্টা করতে হবে অন্য সময়ের চাইতে একটু বেশি রসুন খাওয়ার। রসুনে থাকা পুষ্টি গুণাগুণ রক্ত কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা প্যাথোজেন থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে।
জি ঠিকই পড়েছেন! রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পান করতে হবে প্রচুর পানি। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোনভাবেই সুস্থ থাকা সম্ভব হবে না এবং খুব অল্পতেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়াও শরীরে পানির অভাব ব্যাকটেরিয়ার সংক্রম হয় দ্রুত। ফলে দেখা দেয় নানান ধরণের ইনফেকশনের প্রাদুর্ভাব। চেষ্টা করতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশপাশি ঘনঘন পানি পান করার।
কমলালেবু, মাল্টা, জাম্বুরা, লেবু সহ নানান ধরণের সাইট্রাস ফল দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন প্রতিদিন বিকালের নাস্তার টেবিল। ভিটামিন-সি ও অসংখ্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ সাইট্রাস ফল শরীরের ভেতরের লুকায়িত ইনফেকশনকে সারিয়ে তুলতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সাইট্রাস ঘরানার এই সকল ফলের সাথে টমেটোও রাখতে পারেন।
কী এই প্রোবায়োটিক? দই, লাচ্ছি, ঘোল হলো মাইক্রোব সমৃদ্ধ প্রোবায়োটিক খাদ্য ও পানীয়। এই সকল খাদ্য উপাদান পাকস্থলিস্থ খাদ্য দ্রুত ও ভালোভাবে পরিপাক হতে সাহায্য করে। যা পরিপাকতন্ত্র সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ আদা ফ্লু ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। এক কাপ আদা চা আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে দেখা দেওয়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও ভাইরাল ইনফেকশনকে সারাতে বেশ কার্যকর।