অফিস কিংবা ক্লাসের তাড়া থাকে বলে তাড়াহুড়া করে অল্প কিছু খেয়েই দৌড় দিতে হয় নিশ্চয়। বেশিরভাগ সময় সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয় না। অথচ সকালের নাস্তার বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কারণ সকালের নাস্তা যতটা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর হবে, সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি পাওয়া যাবে ততটাই।
নাস্তায় যেকোন খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এর ফলে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যেতে পারে সহজেই। এছাড়া পূরণ হয়ে যায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদাও।
জেনে এমন চমৎকার চারটি পানীয়ের নাম। প্রতিদিন সকালের শুরুটা এই সকল পানীয়ের সঙ্গে করলে সুস্থতা হবে নিত্য সঙ্গী।
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে জিরা দারুণ কার্যকরি একটি উপাদান। হজমকারক এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে খাদ্য পরিপাক হতে সাহায্য করে বলে জিরাপানি খুব সহজেই গুরুপাক খাদ্য হজম করে ফেলে। এছাড়া পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতেও জিরাপানি দারুণ উপকারি। তবে সকালে জিরাপানি পানের কারণ হলো, এনার্জি বাড়াতে এই পানীয় অনন্য। সারাদিনের কাজের শক্তি ও স্পৃহা বৃদ্ধি করতে এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন সকালে পান করতে হবে জিরাপানি।
অ্যালোভেরা পাতার জেলে রয়েছে প্রদাহবিরোধী উপাদান। যা পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে দারুণ উপকারি। বিশেষ করে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যায় অ্যালোভেরার জ্যুস খুবই কার্যকরি। সকালের নাস্তায় এই জ্যুস খাওয়ার ফলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের হয়ে যায় সহজেই।
শরীরের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান। যা খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক সবজি থেকে। পছন্দসই কোন সবজি কিগ্নবা শাক খুব অল্প পানিতে সিদ্ধ করে এরপর লবণ ও পছন্দসই মশলা মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। নাস্তায় সবজির স্মুদি সারাদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
একদম সহজ ও মজাদার পানীয়ের সঙ্গে সকালটা শুরু করতে চাইলে পান করতে হবে টমেটোর জ্যুস। টমেটোর ৯৫ শতাংশই পানি, ফলে দিনভর শরীরের পানির চাহিদা পূরণেও এই পানীয় কাজ করবে চমৎকার। এছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং শরীরে ভিটামিন- এ ও সি এর চাহিদা পূরণে এই পানীয়ের বিকল্প নেই।