বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষকেই পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, কোনও না কোনও ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছেন। তার অন্যতম কারণ ভেজালের যুগ। তবে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি-র অভাবে ভোগে শিশুরা। অনেক সময় বাড়ন্ত বাচ্চারাও এই ঘাটতির শিকার হয়। এর পরেই রয়েছে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা। ষাট বছর বয়সের পরে শরীরে ভিটামিন ডি-র উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শরীরে এ সময় ভিটামিন ডি-র ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়।
আর এই ভিটামিন ডি-র অভাব ঘিরে সঙ্কট এখন ঘরে ঘরে। নানা ধরনের অসুস্থতা দেখো দেয় এই ভিটামিনের অভাবে। তবে সঠিক নিয়মে সূর্যালোক ও ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে এর ঘাটতি সহজেই মেটানো যায়।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে
ভিটামিন ডি শরীরের কম থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। ফলে কথায় কথায় সংক্রমণ হলে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার।
পেশিতে টান ধরতে পারে একই কারণে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পেশির শক্তি কমিয়ে দেয় বহু ক্ষেত্রে।
ক্লান্তি হলো ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে আসে। প্রচুর ঘুমিয়ে এবং ভালো ভাবে খেয়েও কি ক্লান্তি কমে না? তবে একটু ভেবে দেখা দরকার।
হাড়ে ব্যথাও ভিটামিন ডি-র ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। টানা এমন ব্যাথা চললে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিনা কারণেই চুল পড়ে? এমন হয় ভিটামিন ডি-র অভাবে। একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে ওষুধ খেতে শুরু করা জরুরি।
করণীয়
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি খুব বেশি হলে ৪০ হাজার ওট সপ্তাহে এবং পরে মাসে একটি করে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেয়ে যেতে হবে। ঘাটতি কম হলে ২০ হাজার ওট ক্যাপসুল যথেষ্ট হতে পারে।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে তো বটেই, অন্য ক্ষেত্রেও, সব সূর্যলোকে যেতে হবে নিয়মিত। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে প্রচলিত খাদ্যগুলোতে ভিটামিন ডি-র উপস্থিতি খুবই কম, তারপরও যেসব খাদ্যে ভিটামিন ডি-র কিছু পরিমাণে উপস্থিতি আছে তা যতটা সম্ভব নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।