প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেয়ার বিকল্প দেখছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ৬ মাস ধরে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। এরই মধ্যে ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার বিকল্প হিসাবে সামনে এসেছে নাকে স্প্রে করা।
নাকে স্প্রে করে করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা চলছে কয়েক মাস ধরেই। সেই গবেষণা বলছে- ইনজেকশনের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়ায় বর্তমানে টিকা দেয়া হচ্ছে, নাকে স্প্রে করে দেয়া টিকা তার চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে।
স্প্রে করে টিকা প্রয়োগে সংক্রমণ ছড়ানোর হার অল্প সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পাশাপাশি টিকার আওতার বাইরে থাকা ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে দ্রুত টিকা দিতে এ পদ্ধতি কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
ইতোমধ্যেই গবেষণাগারে এ টিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। অন্য প্রাণীদের ওপর পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এরপরে মানুষের ওপর নিয়মমাফিক পরীক্ষার অপেক্ষা। সেই পরীক্ষার ফল ঠিকঠাক এলেই বাজারে আসবে নাকে স্প্রে করে দেয়া টিকা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জানিয়েছেন, শুধু সহজীকরণ নয়, নাকে স্প্রে আকারে নেয়া টিকার আরও কিছু সুবিধা উঠে এসেছে গবেষণায়। দেখা গেছে- এই টিকা নিলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেকটাই কমছে।
বর্তমানে যে ধরনের টিকা দেয়া হচ্ছে, তা নেয়ার পরেও করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা একেবারে শূন্য হয়ে যাচ্ছে না। কিন্তু এই নতুন টিকায় প্রায় তেমনই হতে পারে। শুধু তাই নয়। এ টিকার অন্য সুবিধাও আছে। এমআরএনএ টিকার মতো এ টিকা দু’বার নিতে হয় না। টিকার একটি ডোজ স্প্রে করাই যথেষ্ট।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা