সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান থাকায় দুধকে শ্রেষ্ঠ খাবার বলা হয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, সব বয়সী মানুষের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে রোজ এক গ্লাস দুধ পান করা প্রয়োজন। অ্যাসিডিটির সমস্যা, পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা, কাজের স্ট্রেসে অস্থির অবস্থা- এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক গ্লাস দুধ। তবে সঠিক সময় এবং সঠিক পদ্ধতি মেনে দুধ পান করতে হবে।
দুধ পানের সঠিক সময়—
১. দুধ পানের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বিকেল। ভালো হজমের জন্য লাঞ্চ করার দু ঘন্টা পর দুধ পান করলে সবচেয়ে ভালো হয়। দুধ যেহেতু ভারী খাবার এটি রাতে না খাওয়াই ভালো। রাতে দুধ খেলে হজমের জন্য সময় পায় না। ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
২. ভারী খাবার গ্রহণের পরে কখনো দুধ পান করবেন না। কারণ দুধ হজম করতে সময় লাগে তাই খাবার পর দুধ পান করলে খাবার হজম প্রক্রিয়া দূর্বল হয়ে পরে। ফলে অ্যাসিডিটির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. খালি পেটে দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে অবশ্যই এটি মানুন।
৪. অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে চা কিংবা দুধ দিয়ে ওষুধ খাওয়ার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ দিয়ে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দুধ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৫. বাসি দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন। কারণ, বাসি দুধের থেকে টাটকা দুধের গুণগতমান অনেক বেশি। এ ছাড়া বাসি দুধ শরীরে নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে। তাই সর্বদা টাটকা এবং ভালো করে ফুটিয়ে দুধ পান করুন।
৬. দুধ পানের আগে বা পরে টক জাতীয় ফল বা আচার কিছু খাবেন না। এছাড়াও নোনতা জাতীয় খাবার ফাস্ট ফুড চিপস এ জাতীয় খাবেন না। খেতে হলে এক ঘন্টা বিরতি দিয়ে তবেই খাবেন। নাহলে কেমিক্যাল রি-একশ্যান হয়ে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিবে।