পাকা কলার ছয়টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার

পরামর্শ, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-28 13:05:09

ভীষণ উপকারী ফল কলার গুণের যেন শেষ নেই।

একটি মাঝারি আকৃতির পাকা কলা থেকে ১০৫ ক্যালোরি, ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৭ শতাংশ ভিটামিন-সি ও ১২ শতাংশ আঁশ পাওয়া যায়। অথচ উপকারী এই ফলটি খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। যে কারণে প্রায়শ ঘরে থাকা পাকা কলা নষ্ট হয়ে যায়।

খেতে না চাইলেও, পাকা কলা ব্যবহার করা যায় বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় কাজে। অনেকেই হয়তো কলার এই সকল ব্যতিক্রমী ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন। আজকের ফিচারে তেমন কয়েকটি ব্যবহার তুলে ধরা হলো।

ত্বকের যত্নে

পাকা কলা ও কলার খোসায় থাকা পুষ্টিগুণ ব্রণ দূর করতে দারুণ কার্যকর উপাদান। কলার খোসার সাদা অংশ ত্বকের আক্রান্ত অংশের উপর মিনিট দশেক ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

চুলের যত্নে

চুলের যত্নে কলার ব্যবহার নতুন কিছু নয়। চুল পড়া কমাতে, চুল শক্ত করতে ও চুল কোমল করতে কলার হেয়ার প্যাক অনবদ্য। এই হেয়ার প্যাক তৈরির জন্য একটি বড় পাকা কলা, দুই চা চামচ দই, ২ চা চামচ নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। আধাঘন্টা পর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

অন্য ফল পাকাতে

পাকা কলা থেকে নিঃসৃত হয় ইথিলিন (Ethylene) নামক এক ধরণের হরমোন। যা অন্যান্য ফল ও সবজী পাকাতে সাহায্য করে। আধা পাকা কোন ফল ও সবজীর সঙ্গে একই ব্যাগে একটি বেশি পাকা কলা ২৪ ঘন্টার জন্য রেখে দিলে, আধা পাকা ফল ও সবজী সম্পূর্ণ পেকে যাবে।

জুতা হবে চকচকে

কলার খোসার সাদা অংশ দিয়ে জুতা পলিশ করলে একেবারে চকচকে হয়ে যাবে কিছুক্ষণের মাঝেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কলার খোসা যেন বাদামী বর্ণ ধারণ না করে। আর জুতায় যদি কলার গন্ধের বিষয়ে চিন্তা থাকে, তবে পলিশ করার পর পানি ও স্পিরিটের মিশ্রণের সাহায্যে মুছে নিতে হবে।

ত্বক থেকে কালি দূর করতে

শিশুরা হাতের নাগালে কলম পেলেই নিজের হাতে কিংবা পায়ে আঁকানো শুরু করে। ত্বক থেকে কলমের জেদি দাগ তোলার জন্য কেমিক্যালযুক্ত কোন পণ্য ব্যবহার না করে, কলার খোসা ব্যবহার করুন।

পোকামাকড় দূর করতে

কেমিক্যালযুক্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ঘরকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে ব্যবহার করুন পাকা কলা। একটি মুখবন্ধ কন্টেইনারে এক কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার, এক কাপ পানি ও একটি সম্পূর্ণ পাকা কলা টুকরো করে কেটে একসাথে মেশাতে হবে। কন্টেইনারের মুখে কয়েকটি ছিদ্র করে ঘরের এক কোনায় রেখে দিতে হবে। এই মিশ্রণের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় কন্টেইনারে ঢুকে আটকে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর