যা পুরোপুরি সত্য। চকলেটে ব্যবহৃত চিনি, সিরাপ ও বিভিন্ন ধরণের ফ্লেভার দাঁতের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। যে কারণে চকলেট থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার এবং চকলেট খাওয়ার পর দাঁত মেজে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে জেনে অবাক হবেন যে, চকলেটের মতোই বেশ কয়েকটি খাদ্য উপাদান দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। না জেনেই অনবরত এই সকল খাবার খাওয়ার ফলে দাতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরেও দাঁতে ক্ষয়রোগ দেখা দিলে অনেকেই অবাক হন। আজকের ফিচারটি থেকে দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো নাম জেনে নিলে বুঝতে পারবেন, কেন চকলেট না খেলেও সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে।
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান ডেন্টিস্ট্রির ওরাল মেডিসিনের প্রফেসর স্টিফেন জে. স্টিফেনাস জানান, ড্রাই ফ্রুটস ও চকলেট খাওয়ার মাঝে আদতে কোন তফাৎ নেই। ড্রাই ফ্রুটসের স্টিকিনেস ও মাত্রাতিরিক্ত চিনির ব্যবহার দাঁতে চকলেটের মতোই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
শক্ত ঘরানার চিপসগুলো শুধু দাঁত নয়, মাড়ির পেশীকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং চিপস খাওয়ার ফলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। এছাড়া চিপসের ফ্লেভারে থাকে অ্যাসিডিক উপাদান ও পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি। যা দাঁতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে।
এই নামটি পড়ে খুব একটা অবাক হবার কথা নয়। মাত্র ১২ আউন্স পরিমাণ কোমল পানীয়তে রয়েছে ৩৯ গ্রাম চিনি। এছাড়াও, কোমল পানীয় প্রচন্ড অ্যাসিডিক হয়ে থাকে। যা দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
খুবই আশ্চর্যজনকভাবে বোতলজাত পানি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কারণ বোতলজাত পানিতে ফ্লেভার তৈরি জন্য বিভিন্ন ধরণের মিনারেলসমূহ যোগ করা হয়। যা চা কিংবা কফির মতো অ্যাসিডিক হয়ে ওঠে।
ভিনেগারে থাকে ডিটক্সিফাইং উপাদানসমূহ। এছাড়া এতে থাকে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক উপাদান। যা খুব সহজেই দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে থাকে।
এই পানীয় দুইটি ক্লান্তিভাব দূর করার পাশপাশি দাঁতের ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। উভয় পানীয়ই অ্যাসিডিক ও ডায়ারেটিক। এর ফলে চা ও কফি পানের কিছুক্ষণ পর মুখ শুকনো হয়ে যায়। অর্থাৎ স্যালাইভা কমে যায়। যা দাঁতে ক্যাভিটিজ (ক্ষয়রোগ) ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা তৈরি করে।