লাউ শাক উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন-সি ঠাণ্ডা এবং যে কোন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ভর্তা, ঝোল কিংবা তরকারি বিভিন্ন উপায়ে লাউ শাক খাওয়া হয়। এই শাকে রয়েছে ফলিক এসিড, আয়রন, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর ফাইবার।
চলুন উপকারী এই শাকের কিছু উপকারিতা জেনে নেই-
১. গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ প্রয়োজন হয়। ফলিক এসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। যার ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশু জন্মাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে লাউ শাক খান। তবেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
২. লাউ শাক বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন-এ পরিপূর্ণ। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে। উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় লাউ শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. লাউ শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাসিয়াম কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। লাউ শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
আয়রন সমৃদ্ধ লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এই শাকে ক্যালরি কম থাকে এবং এটি কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। তাই এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।