মাইগ্রেনের সমস্যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম সাধারণ সমস্যা। আমাদের চারপাশে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মস্তিষ্কে রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতা এবং জেনেটিক বা বংশগত কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।
তবে খাদ্যভ্যাসের উপরও নির্ভর করে মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা যন্ত্রণাদায়ক। ব্যথার তীব্রতা কমাতে বেশ কিছু খাবার সুফল বয়ে আনে। আবার এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে মাইগ্রেনের ব্যথাও কম হতে পারে।
জেনে নিন ব্যাথা কমাতে কী কী খাবার খাবেন-
কলা
অনেক সময় খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হয়ে মাথা ব্যথা পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। চটজলদি কী খেলে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। এর জন্য সেরা খাবার কলা। ম্যাগনেশিয়ামের ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত এনার্জি পাবেন এবং মাইগ্রেনের সম্ভাবনাও কমবে।
তরমুজ
পানি বেশি খেলে মাইগ্রেনের সম্ভাবনা কমে এটা অনেকেরই জানা। তবে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি খাওয়াই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ বেশি। তরমুজের মতো ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। তাই খিদে পেলে প্যাকেটের স্ন্যাক্স বার না খেয়ে তরমুজ খান।
বাদাম-বীজ
শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে মাইগ্রেনের প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন, যা থেকে এই অপুষ্টি কম করা সম্ভব। নানা রকম বাদাম খেতে পারেন ঘুম থেকে উঠে। সালাদের সঙ্গে ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, বা কুমড়োর বীজ মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি ফাইবারও রয়েছে প্রচুর।
ভেষজ চা
শরীর হাইড্রেটেড রাখতে ভেষজ চা খেতেই পারেন। তাতে মাথা ধরার সম্ভাবনা কমে। তা ছাড়াও ‘ইন্টারন্যাশন্যাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী পিপারমিন্ট-টি খাওয়া সাইনাসের জন্য উপকারী। তাই মাথা ধরার প্রবণতা কমাতে পিপারমিন্ট-টি খাওয়া শুরু করতে পারেন।
মাশরুম
অনেক সময় হজমের গন্ডগোল বা পেটের অন্য সমস্যা থেকে মাথা ধরতে পারে। এবং সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন রয়েছে, রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়। এতে হজমশক্তি বাড়তে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ধরার সমস্যাও কমে যাবে।