চীনাবাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। খোসাসহ ভাজা, খোসা ছাড়া ভাজা, লবণ দেয়া কিংবা কাঁচা নানা ভাবেই এটি খাওয়া যায়। মাটির নীচে হয় বলে এটাকে চীনাবাদাম বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় এর ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। চীনাবাদাম বিভিন্ন খাবার তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট রয়েছে যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত এই বাদাম খেলে হৃদরোগজনিত জটিলতা কমে।
জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে রোজ ৪-৫টি চীনাবাদাম খেলে ইস্কেমিক স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চীনাবাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি শতকরা ২১ ভাগ কমে যায়।
কেন চীনাবাদাম উপকারী?
১. চীনাবাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশ কম। কিন্তু এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে।
২. চীনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩. চীনাবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আর্জিনিন নামে একটি ফাইবার। এই ফাইবার হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
৪. হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখার পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় চীনাবাদাম। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন ই-র মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
৫. অতিরিক্ত ওজন থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, হৃদ্রোগের আশঙ্কাও থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চীনাবাদাম খেলে বিপাক হার বাড়ে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কতটা চীনাবাদাম খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে সপ্তাহে ৪-৫দিন চীনাবাদাম খাওয়া জরুরি। তবে প্রতিদিন ৬-৭ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারও যদি বিশেষ কোনও অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভাল।