প্রবাদ আছে, মানুষ মাত্রই ভুল। আর সেই কারণেই প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সময়ে প্রিয়জনের অনেক দোষ-ত্রুটি বা সমস্যাজনক ব্যবহার মেনে নিতে হয়। সম্পর্কের খাতিরে এমন অনেক আপত্তিজনক ব্যবহারও নজর এড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখেও না দেখার ভান করতে হয় সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য।
কিন্তু আদতে সঙ্কটের সময়গুলোতে চুপ করে থাকলে কি সম্পর্কের সুস্থতা বজায় থাকে? সঙ্গীর এই রকম সমস্যাজনক ব্যবহার আপনার আত্মমর্যাদার হানি ঘটাতে পারে। যার জেরে মানসিক সমস্যা, এমনকি অবসাদের শিকার হলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বিশেষ ব্যবহারে বা কাজে বোঝা যায় আপনার সম্পর্কটি সমস্যাজনক হয়ে উঠেছে কী না? সেইগুলো দেখলে তেমন সম্পর্কে না থাকায় সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে। সেই লক্ষণগুলো জেনে নিন-
নিয়ন্ত্রণ করা
যদি কখনও মনে হয় যে, আপনার সঙ্গী আপনার জীবনের বড় অংশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, নিঃসন্দেহে তখন সেই সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে হবে। কোনও সুন্দর সম্পর্ক ব্যক্তিত্বকে বিকশিত হতে সাহায্য করে, তাকে বেঁধে রাখে না। যদি সেই জায়গা আপনি আপনার সঙ্গীর তরফ থেকে না পান, তা হলে আপনার বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া
শুধুমাত্র এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন বলে বাকি বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের থেকে দূরে সরে যাওয়া কখনওই কাম্য নয়। আপনার সঙ্গী আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন, কিন্তু কখনওই আপনার গোটা জীবন ওই একটি মাত্র মানুষকে কেন্দ্র করে ঘুরতে পারে না।
অসম্মানিত হওয়া
কোনও কারণেই সম্পর্কের মধ্যে অসম্মান যেন না আসে। যে কোনও সম্পর্কে টানাপড়েন থাকে। কিন্তু আপনার সম্পর্ক যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন আপনাদের দুইজনের মধ্যে পারস্পরিক অসম্মান দেখা দিলে তা নিঃসন্দেহে সমস্যার লক্ষণ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সম্পর্কে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত সমস্যাজনক। একজনের সাফল্যে অন্যজন আনন্দিত হবে এটা আশা করাই স্বাভাবিক। যদি সেই সাফল্য কোনও ভাবে ঈর্ষার কারণ হয় তবে সেই মানুষটির সাথে থাকতে পারবেন কিনা তা ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।