সকালে ঘুমের আমেজ কাটাতে অনেকেই কফি পান করে থাকেন। কফি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারি। সীমিত পরিমাণে কফি পান করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকেও বাঁচা যায়।
আনন্দ অনুভুতি: কফির গন্ধই অনেকখানি চাঙা করে দেয়। আর পেটে কফি পড়লে মনের বিষাদভাব কাটতে বেশি সময় লাগে না।
চিন্তা দূর হয়: কফি পান করলে উদ্বেগ বা চিন্তা কমে। মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে কফি পান করতে পারেন। অতিরিক্ত কফি পানের ফলে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি দূর করে: ক্লান্তি দূর করতেও কফি পান করা যেতে পারে। কফি পান করলে আপনি সতেজ বোধ করবেন।
খেলাধুলায় উন্নতি: ক্যাফেইন যুক্ত কফি খেলে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো খেলার আগে কফি পান শরীরে আনে আলাদা শক্তি।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: মানসিক চাপের সময়, ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রমাণ মিলেছে আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ ক্যাফেইন।
রোগের ঝুঁকি কমায়: ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে দেখা গেছে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।
কফি পানের সঠিক সময়: সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কফি পানে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা ভালো। এটি সঠিক সময়। এই সময়ে কফি পান করা নিরাপদ। ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কফি পান করা ক্ষতিকারক হতে পারে।