করলা বা উচ্ছে খুবই উপকারি একটি সবজি। সাধারণত ভাজি করেই এই সবজি খাওয়া হয়। এ ছাড়াও উচ্ছে ভর্তা, উচ্ছের ডাল এবং উচ্ছে দিয়ে ছোট মাছের চচ্চরিও কম সমাদৃত নয়। তবে সমস্যা ওই একটাই, তিতা বলে অনেকেই এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।
আজ শেয়ার করবো উচ্ছে ভাজির রেসিপি। তবে তা একটু স্পেশাল। এভাবে রান্না করলে যারা খেতে চান না তারাও খেতে চাইবেন।
উপকরণ-
আধা কেজি উচ্ছে
তেল
মাঝারি সাইজের ৫/৬টি পেঁয়াজ
আড়াইশ গ্রাম চিংড়ি
কাঁচা মরিচ ফালি
হলুদ গুড়া
রোস্টেড জিরা গুড়া
লবণ
যেভাবে ভাজি করবেন-
প্রথম কাজটি হলো এই যে চিংড়ির উচ্ছিষ্ট অংশ সেগুলো বেটে বা ব্লেন্ড করে নেওয়া। এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর চুলায় একটি ফ্রাইং প্যান দিয়ে দিন। তাতে দিন তেল। তেল গরম হয়ে এলে এবার এতে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে দিন।
বাটা চিংড়ি দিয়ে করলা ভাজির ভিডিও দেখুন এখানে:
এবার এই পেঁয়াজগুলো গোল্ডেন করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজে গোল্ডেন কালার চলে এলে এই পর্যায়ে দিয়ে দিন বেছে রাখা চিংড়ি। চিংড়িটা কিছুক্ষণ ভেজে দিয়ে দিন স্বাদমতো লবণ এবং সামান্য হলুদ গুড়া। এবারে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন।
কষানো হয়ে গেলে এই পর্যায়ে দিয়ে দিন চিংড়ির সেই বাটা মিশ্রণটি অনেকে এটাকে বলে চিংড়ি ঝোগা বাটা। যাইহোক মিশ্রণটিতে সামান্য পানি মিশিয়ে একটু পাতলা করে তারপর দিতে হবে। মিশ্রণটি যতটা সম্ভব মিহি করতে হবে। পানি মিশিয়ে পাতলা করার কারণ হলো ছেকে দেওয়ার সময় অমশ্রিণ অংশ থেকে যাবে।
এবার এই মিশ্রণটিও কষিয়ে নিতে হবে তেল উঠা পর্যন্ত। দিয়ে দিন রোস্টেড জিরা গুড়া। চিংড়ি কষে তেল উপরে উঠে গেলে এই পর্যায়ে দিয়ে দিন চার পাঁচটি কাঁচা মরিচ ফালি। ঝালটা আপনাদের পছন্দ মতোই দিবেন।
একটু নেড়ে মিশিয়ে দিন। এখন দিয়ে দিন কেটে রাখা উচ্ছে। এবারে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন কিছু সময়ের জন্য। বেশি সময়ের জন্য ঢাকা যাবেনা। কারণ উচ্ছে ঢেকে রান্না করলে এর রং লাল হয়ে যাবে। কাজেই যদি সবুজ রং অক্ষত রাখতে হয় তবে ঢেকে ভাজি করা যাবে না।
চুলার জ্বাল হাই ফ্লেমে রেখে নেড়ে উল্টেপাল্টে ভাজিটা করতে হবে।উচ্ছে সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার গরম ভাতে পরিবেশনের পালা।
সত্যি মুখে লেগে থাকার মতোই এর স্বাদ। যারা উচ্ছে তিতা বলে মুখ বাঁকা করে বাহানা করেন না খাওয়ার তারাও একবার খেলে তৃপ্ত হয়ে দ্বিতীয়বার চেয়ে খাবেন। রং সতেজ আর অটুট রেখে কি করে তিতা উচ্ছের ভাজিকেও স্পেশাল করা যায় সেটাই এই রান্নার মুন্সিয়ানা।