গরম-ঠান্ডার এই সময়টিতে হুট করেই কাশির প্রাদুর্ভাব খুব যন্ত্রণা দেয়। কাশির সঙ্গে গলা ব্যথা, সর্দি, মাথাব্যথা তো থাকেই। আরও বড় সমস্যা হলো, কাশির প্রাদুর্ভাব একবার দেখা দিলে সহজে ভালো হতে চায় না।
যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যাটি থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন উপকারী পানীয় পান করা। এমন তিনটি পানীয়ের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
মধু ও কালো গোলমরিচের গুঁড়ার মিশ্রণে তৈরি পানীয় খুশখুশে কাশিকে অনেকটাই প্রশমিত করে এবং মিউকাস নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে গলার শুষ্কভাব কমিয়ে আনে। বিশেষত কালো গোলমরিচের গুঁড়া ঠাণ্ডার ফলে বুকে ইনফেকশনের সমস্যা কমায়।
এই পানীয় তৈরি করতে চাইলে এক চা চামচ কালো গোলমরিচের গুঁড়া এবং এক টেবিল চামচ মধু ফুটন্ত পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নামিয়ে চায়ের মতো পান করতে হবে।
পুদিন পাতাতে থাকা মেন্থল নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাকে প্রশমিত করে এবং মিউকাসের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। স্থানীয় দোকান থেকে পিপারমেন্ট টি-ব্যাগের সাহায্যেও পুদিনা পাতার চা তৈরি করা যায়। তবে একদম ফ্রেশ পুদিনা পাতা থেকেী পুদিনা পাতার চা তৈরি করা বেশি উপকারিতা বহন করে। পুদিনা পাতার চায়ের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু যোগ করলে আরও ভালো উপকারিতা পাওয়া যাবে।
এতোদিন ধরা আদা চায়ের জনপ্রিয়তা ও প্রচলন দেখে আসার ফলে রসুন চায়ের কথায় অবাক হবেন অনেকেই। তবে আদার মতোই কাশি সারানোর জন্য উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান হলো রসুন। কিছু ক্ষেত্রে আদার চাইতেও উপকারিতা বহন করে ঝাঁঝালো এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। রসুনতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদানসমূহ কাশি ও কাশির ফলে দেখা দেওয়া অন্যান্য উপসর্গকে কমিয়ে আনে।
দুই কাপ পানিতে কয়েক টুকরো রসুন কুঁচি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। নামানোর আগ মুহূর্তে তিন-চারটি লবঙ্গ দিয়ে দুই-একটি বলকে জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বলক আসলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করতে হবে।