শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কাশি, হাঁচি, সর্দি ও গলাব্যথার মতো ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব একবার দেখা দিলে সহজে ভালো হতে চায় না। ওষুধ সেবনেও বেশ লম্বা সময় প্রয়োজন হয় পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য।
ন্যাচারাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ফ্রেড পেসক্যাট জানাচ্ছে, ঠান্ডার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সবার আগে খাদ্যাভ্যাসের উপরে জোর দিতে হবে, কারণ এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকে। ফলে অসুস্থতা দীর্ঘায়িত হতে থাকে। তার মনে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভিটামিন-সি, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য উপাদান গ্রহণের উপরে জোর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি।
তার পরামর্শ অনুযায়ি অসুস্থতার সময়ে একজন পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন-সি গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু ভিটামিন-সি এর উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জেনে রাখুন লেবু ও কমলালেবু ব্যতীত কোন খাদ্য উপাদান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে।
১. লাল ক্যাপসিকাম: একটি মাঝারি আকৃতির লাল ক্যাপসিকাম থেকে দিনের ১৯০ শতাংশ পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া সম্ভব হবে।
২. ব্রকলি: মাঝারি আকৃতির একটি ব্রকলি থেকে দৈনিক চাহিদার ২২০ শতাংশ ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে।
৩. স্ট্রবেরি: আটটি মাঝারি আকৃতির স্ট্রবেরি পূরণ করবে ১৬০ শতাংশ ভিটামিন-সি এর চাহিদা।
উপকারী এ সকল খাবার খাদ্য তালিকায় রাখার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল গ্রহণের দিকেও। ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খাবার গ্রহণে ইচ্ছা একেবারেই কমে যায়। সেক্ষেত্রে তরল পানে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।