অ্যালার্জির সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, একে প্রতিরোধ করা। যাদের শীতকালে অ্যালার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়, খাদ্যাভ্যাসে অ্যালার্জি বিরোধী খাদ্য উপাদান রাখা হবে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি। অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে ও প্রতিরোধে উপকারী এমন আটটি খাদ্য উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন-
ব্রকলি
ক্রুসিফেরাস গোত্রের মাঝে অন্যতম স্বাস্থ্যকর শীতকালীন সবজি হলো ব্রকলি। ফুড অ্যান্ড ফাংশন নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য মতে, ব্রকলি শরীরের দূষিত পদার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, যা অ্যালার্জির সমস্যা তৈরির জন্য দায়ী। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ও সবজিতে ব্রকলি রাখলে অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাবে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা দেবে।
মিষ্টি আলু
সাধারণ আলুর মতো মিষ্টি আলু খাওয়ায় কোন ক্ষতি নেই। বরং এতে থাকা স্বাস্থ্যকর স্টার্চ অ্যালার্জি কমাতে ও প্রতিরোধে খুব দারুণ কার্যকরি। মূলত মিষ্টি আলুতে থাকা বেটা-ক্যারটিনের জন্য এই উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হয় বলে জানাচ্ছে মায়ো ক্লিনিক।
হলুদ
প্রতিদিন রান্না হওয়া হরেক খাবারের মাঝে হলুদ গুঁড়া থাকেই। এই হলুদ চুপিসারে কাজ করে অ্যালার্জিকে প্রতিরোধ করতে। মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চের মতে হলুদ গুঁড়া অ্যালার্জির লক্ষণকে প্রশমিত করতে কাজ করে এবং অ্যালার্জি দেখা দেওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
মধু
অ্যালার্জির সমস্যাটি থেকে দূরে থাকতে মিষ্টি কিছু খেতে চান? তবে এক চা চামচ মধু খেয়ে নিন। ২০১৩ সালের গবেষণার তথ্যানুসারে খাদ্যাভ্যাসে মধু রাখার ফলে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাক কমে যায় প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত।
রসুন
যারা রসুন খেতে ও খাবারে রসুনের গন্ধ পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। ২০১৫ সালের গবেষণার তথ্যানুসারে, রসুন শুধু অ্যালার্জির প্রভাবকেই কমাতে কাজ করে না, অ্যালার্জি দেখা দেওয়া থেকেও প্রতিরোধ করে।