মুখে দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয় অনেককেই। দিনে দুবার ব্রাশ করার পরও দুর্গন্ধ যেন থেকেই যায়। মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। মুখগহ্বরের বিভিন্ন রকম জীবাণু থেকে দাঁতের নানা সমস্যা, মুখের দুর্গন্ধের পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে চিন্তা নেই। কিছু প্রকৃতিক উপাদান আছে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব।
লবঙ্গ
লবঙ্গ মুখের দুর্গন্ধ হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যাও কমায়। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রোপাটিজ, যা মুখে গন্ধ তৈরি করা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। কাজেই তাৎক্ষণিক ভাবে মুখের দুর্গন্ধ কমাতে দু’- তিনটি লবঙ্গ চিবিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট। দেখবেন গন্ধ একেবারে চলে গেছে।
দারুচিনি
লবঙ্গের মতোই দারচিনিতেও রয়েছে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। তাই মুখ থেকে গন্ধ বেরোলেই এক চামচ দারুচিনির পাউডারের সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে গরম করে নিন। তার পর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুলকুচি করুণ। দেখবেন গন্ধ চলে যাবে।
মধু ও পানি
মধুতেও থাকে জীবাণুনাশক গুণ। আবার প্রদাহ কমাতেও কাজে আসে মধু। চাইলে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে দারুচিনি গুঁড়া। আবার মধু খেতে না চাইলে উষ্ণ গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গেল করলেও মিলতে পারে সুফল।
লেবুর রস
মুখের গন্ধের কারণে যদি জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তা হলে নিয়মিত লেবুর রস পান করুন। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লেবুর অন্দরে থাকা অ্যাসিডিক কনট্যান্ট, মুখগহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে খারাপ গন্ধের প্রকোপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এক্ষেত্রে এক কাপ পানিতে ২ চামুচ লেবুর রস ফেলে পান করতে পারেন অথবা সেই পানি দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করে ফেলেও দিতে পারেন।
পুদিনাপাতা
একে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যেতে পারে। তাই মুখে গন্ধ হলে ২-৩টি পুদিনাপাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন।