শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা অন্যতম জনপ্রিয় মেডিসিনাল প্রাকৃতিক উপাদান হলো ঘৃতকুমারী/অ্যালোভেরা। ত্বক ও চুলের যেকোন ধরণের সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার জেল অত্যন্ত কার্যকরি। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধক হিসেবেও অ্যালোভেরার উপকারিতা বেশ লক্ষণীয়। অ্যালোভেরায় রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড তথা ভিটামিন সমূহ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড।
বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতাতেই উপকারী ভেষজ হিসেবে অ্যালো ভেরার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। ত্বক ও চুল ছাড়াও অ্যালোভেরার আছে অরোও অনেক গুণ যা অনেকেই আমরা জানিনা। চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
১. ত্বকের যত্নে
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অ্যালোভেরার দারুন উপযোগী। সেক্ষেত্রে সবুজ অংশটুকু ফেলে ভিতরের জেলি ব্যবহার করতে হয়। এতে থাকে একাধিক ভিটামিন যার মধ্যে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। তা ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে কোমল ও মোলায়েম রাখে। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বককে পুনরায় সজীব করতেও সহায়তা করে অ্যালো ভেরা। এছাড়াও অ্যালোভেরা দিয়ে বিভিন্ন ফেসপ্যাক তৈরি করেও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
২. ‘মেক আপ’ রিমুভার
যেহেতু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে সেহেতু মেক আপ তোলার সময় রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক টুকরো তুলোতে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে খুব সহজেই মুছে নিতে পারেন মেক আপ। এছাড়াও রেগুলার টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা।
৩. শেভিং ক্রিম হিসেবে
দাড়ি শেভিং ক্রিমের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এই অ্যালোভেরা জেল। গরম পানি, অল্প তেল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সহজেই তৈরি করে ফেলা যায় প্রাকৃতিক এই শেভিং ক্রীম। অ্যালোভেরা যেহেতু প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর তাই দাড়ি কাটার পর জ্বালাপোড়াও কমবে।
৪. দাঁতের যত্নে
অ্যালো ভেরার রস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথার উপশম করে থাকে। দাঁতে কোনও সংক্রমণ থাকলে দূর করে। নিয়মিত অ্যালো ভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব।
৫. ক্যানসার প্রতিরোধক
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অ্যালো ভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যানসার বিস্তার রোধ করে। এ ছাড়াও শরীরের আরোও অনেক স্থানের ক্যানসার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন অনেকে।
এ ছাড়াও সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও ডায়াবেটিস কমাতেও এর ভূমিকা আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।