পেস্তা খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যেই এই বাদাম প্রবল জনপ্রিয়। স্বাদ ও খাদ্যগুণের এমন মেলবন্ধন খুব অল্প সংখ্যক খাদ্যেই পাওয়া যায়। দেখে নিন পেস্তার পাঁচ গুণ।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সম্ভার
অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, এতে রয়েছে লুটেন ও জিয়াজ্যন্থিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালোরিতে কম, প্রোটিনে বেশি
এক আউন্স বা ২৮ গ্রাম পেস্তায় থাকে মাত্র ১৫৯ ক্যালোরি। অন্যান্য বাদামের তুলনায় যা অনেকটাই কম। কিন্তু পেস্তার মোট ওজনের কুড়ি শতাংশ থাকে প্রোটিন। আমন্ড ছাড়া আর কোনও বাদামে এত পরিমাণ প্রোটিন মেলে না। অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের অনুপাত অন্য যে কোনও বাদামের তুলনায় বেশি থাকে পেস্তায়। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডই প্রোটিনের গঠনগত একক।
ফাইবার সমৃদ্ধ
ফাইবার দীর্ঘ সময় খাদ্যনালীর মধ্যে অপাচ্য অবস্থায় থাকতে পারে এবং কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া এই ফাইবারের উপর কাজ করে। এর ফলে ফাইবার ভেঙে ক্ষুদ্র শৃঙ্খলযুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি হয়। এর মধ্যে বিউটাইরেট জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিডে সবচেয়ে উপকারী। কাজেই ফাইবার হজমশক্তি ভাল রাখতে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
কারও কারও মতে পেস্তাবাদাম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর ফলে দূরে থাকে হৃদ্রোগ। শুধু তা-ই নয়, এটি রক্তনালীর ভিতরের স্তর বা এন্ডোথেলিয়াম ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে
অন্যান্য বাদামের তুলনায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলেও পেস্তা বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। অর্থাৎ, এই বাদাম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না। উপরন্তু পেস্তায় উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনল জাতীয় যৌগগুলি রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।