উকুনের সমস্যাটি হয়ে থাকে এক ধরনের প্যারাসাইটসের কারণে। কোনভাবে এই প্যারাসাইট চুলে প্রবেশ করলে কিছুদিনের মাঝেই ডিম ছাড়তে শুরু করে। ফলে অল্প সময়ের মাঝেই সম্পূর্ণ মাথার চুলে ছড়িয়ে পড়ে উকুনের সমস্যা। এছাড়া উকুনের সমস্যাটি ছোঁয়াচে বলে সহজেই অন্যের মাথায় প্রভাব বিস্তার করে নেয় উকুন।
উকুনের প্রকোপ থেকে নিস্তার পেতে ও উকুনের প্রকোপ কমাতে ঘরোয়া বেশ কিছু উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। উকুনের ঘরোয়া চিকিৎসায় কার্যকরি উপাদানগুলোর নাম ও ব্যবহার জেনে রাখুন।
টি ট্রি অয়েলে থাকা বেশ কিছু উপাদান উকুনকে মেরে ফেলতে কার্যকর। উকুনের পাশাপাশি উকুনের ডিমকেও ধ্বংস করে ফেলে এই উপাদানটি। ফলে পুনরায় উকুনের আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
এই তেলটি ব্যবহারের জন্য রাত্রে ঘুমানোর আগে পরিমাণ মতো টি ট্রি অয়েল চুলের গোড়ায় কিংবা স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর বালিশের উপর পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। পরদিন সকালে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিতে হবে।
উকুনের প্রকোপ কমাতে মাউথওয়াশ দারুন উপকারি। মাউথ ওয়াশে থাকা ইউক্যালিপটাস অয়েল এবং থায়ামল, খুব অল্প সময়ে উকুনদের মেরে ফেলে। ফলে উকুনের সমস্যা কমতে বেশি সময় প্রয়োজন হয় না। মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে, স্কাল্পে ম্যাসাজ করে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে চুল বেঁধে রাখতে হবে ২ ঘন্টার জন্য। এরপর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। উকুনের সমস্যা বেশি হলে সপ্তাহে এক বার এই মাউথ ওয়াশ এইভাবে ব্যবহার করতে হবে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করা হলে উকুনের প্রকোপ দ্রুততম সময়ে কমে যায়। কারণ এই তেলে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান উকুনদের মেরে ফেলে।
নিম তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান উকুন ও উকুনের ডিমকে মেরে ফেলতে কার্যকর। সেই সঙ্গে স্কাল্পের উন্নতিতেও অবদান রাখে নিম তেল। উকুনের সমস্যা দূর করার জন্য কয়েক ফোঁটা নিম তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো শ্যাম্পু মিশিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে। চুল ভালোভাবে ধোয়ার পর অবশ্যই চুল আঁচড়ে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: বিপত্তিকর বদহজম!
আরো পড়ুন: মোবাইল ব্যবহারে হন যত্নশীল