অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কর্মক্ষেত্রের উদ্বেগের কারণে বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যের নানা সমস্যার জন্যই স্ট্রোক থেকে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা বেড়েছে কমবয়সীদের মধ্যে। তবে শুধুই শারীরিক সমস্যার জন্য নয়। সম্প্রতি গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যেরও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।
চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অনেক আগেই এই বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই প্রজন্মের বেশির ভাগই অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্থ। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, তরুণদের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি খাওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় ছোট থেকেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তে অন্যান্য যৌগগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। বিপাকহারের তারতম্যে লিভারের সমস্যাও বেড়ে যায়। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসগুলোই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
চিকিৎসকদের মতে, শুধু জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ নয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলা হত ৪০ বছরের পর থেকে এই পরীক্ষা করানোর কথা। কিন্তু চিকিৎসকরা ৩০ বছর থেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, শরীরচর্চা অভ্যাস করতে হবে। খুব বেশি সময় না থাকলে সকালে এবং রাতে হাঁটাহাটি করা যেতে পারে। ধূমপান বা মদ্যপান ত্যাগ করতে পারলে আরও ভাল।