হাঁপানি, পেটের সমস্যা সারাতে পুদিনা পাতা বিশেষ উপকারী। পুদিনা পাতায় ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি সবকিছুরই মাত্রা কম। ভিটামিন এ, সি আর বি – কমপ্লেক্স মেলে পুদিনা পাতা থেকে, যা ত্বকের যত্নে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত জরুরি উপাদান। এছাড়াও এই পাতায় মেলে লৌহ, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ।
>> হজমের সমস্যা দূর করে
হাবিজাবি খাবার খেয়ে যদি হজমের সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে পুদিনার চাটনি কিন্তু কাজে আসতে পারে। পুদিনাতে থাকা ‘মিন্ট’ হজমে সহায়ক উৎসচেকগুলোর ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। গলা, বুকে জ্বালা ভাব কমায়। তবে খেয়াল রাখবেন চাটনিতে যেন মরিচ না থাকে। তা হলে কিন্তু উল্টে বিপত্তি বাড়বে।
>> র্যাশের সমস্যা দূর করে
পুদিনা পাতায় রয়েছে ‘স্যালিসিলিক অ্যসিড’, যা র্যাশ, ব্রণর সমস্যা দূর করতে পারে। যদি মুখে বা গায়ে র্যাশ বেরোয়, তা হলে বাটা পুদিনা পাতায়, লবণ বা অন্যান্য মশলা মেশানোর আগেই খানিকটা তুলে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে র্যাশ উপর মেখে নিন।
>> ঋতুকালীন সমস্যা
প্রতি মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীরে যে অতিরিক্ত ফোলাভাব দেখা যায়, তা অনেকটাই ফ্লুইড বা ‘ইডিমা’ জমার কারণে। এই ফোলাভাব দূর করতে পারে পুদিনা। ভাত, রুটি বা স্যুপের সঙ্গে এই পুদিনা পাতার চাটনি খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
>> অন্ত্রের জন্য ভাল
পুদিনা পাতায় রয়েছে জানথাইন অক্সাইড। এই যৌগটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে। অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে, তার প্রভাব পড়ে বিপাক হারের উপরেও। ফলে বিপাকক্রিয়ার উপর নির্ভর করে, ডায়াবেটিসের মতো এমন বহু রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে পুদিনা।
>> প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
পুদিনা পাতার চাটনির স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য অনেকেই এর মধ্যে লেবুর রস, আমচুর পাউডার দেন। এই সব উপকরণের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করার পক্ষে সহায়ক এই চাটনি।