শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কিডনি। সুসাস্থ্যের জন্য কিডনি বা বৃক্ককে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি ৷ ছোট্ট অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি মানবদেহে ছাঁকনির কাজ করে থাকে ৷ শরীর থেকে দূষিত রেচন পদার্থ বার করে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে বৃক্ক৷ কিডনি একদিকে যেমন দেহকে বর্জ্য পদার্থ মুক্ত করে অন্যদিকে আবার দেহের খনিজ পদার্থের ভারসাম্যও বজায় রাখে ৷
দেখা যায় কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। অজান্তেই এমন কিছু দৈনিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত, যেগুলো থেকে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা।
কোন কোন অভ্যাস থেকে বাড়ে কিডনির সমস্যা?
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে জল খান। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।
>> কিডনি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। শরীরের বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
>> উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।
>> মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
>> অনেকেই রোজের রান্নায় বেশি লবণ খান। রান্নায় লবণ কম হোক বা না হোক, খাওয়ার পাতে একটু কাঁচা লবণ না নিলেই নয়। এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। কিডনিকে ভাল রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে।