বয়স বাড়লে ডিমেনশিয়া এবং পার্কিনসন্সের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইদানিং কম বয়সীদের মধ্যেও পার্কিনসন্স দেখা দিচ্ছে। তবে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’ নামক মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে এই রোগের ঝুঁকি কমে অনেকাংশে।
পারকিনসন্স এক ধরনের স্নায়ুর অসুখ। প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাধারণত এই রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে হাত-পায়ে অনিচ্ছাকৃত কম্পন দেখা দেওয়া, হাঁটাচলা শ্লথ হয়ে যাওয়া, পেশি ক্রমশ শক্ত হয়ে আসা, কথা বলার সময় কথা জড়িয়ে যাওয়া— এগুলো পার্কিনসন্সের প্রাথমিক কয়েকটি উপসর্গ।
এছাড়াও পায়ের কয়েকটি উপসর্গও বলে দেবে, আপনি পার্কিনসন্সের শিকার কি না। পায়ের পেশিতে হঠাৎ টান ধরা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মতো কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এগুলি ছাড়াও চিকিৎসকরা পার্কিনসন্সের অন্য নতুন কয়েকটি উপসর্গের উল্লেখ করেছেন।
শরীরচর্চা করলে সামগ্রিকভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৯৫ হাজার ৩৫৪ জন মহিলার গড় বয়স ৪৯। এই মোট সংখ্যার মধ্যে পার্কিনসন্সে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৭৪ জন। বাকি প্রত্যেকেই কমবেশি শরীরচর্চা করে থাকেন নিয়মিত। ফলে আন্দাজ করা যায়, শরীরচর্চার গুণে এই রোগ এড়িয়েছেন। অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত হাঁটাচলা করতেন, সিঁড়ি ভাঙতেন, ঘরের সমস্ত কাজ নিজের হাতেই করেন। এ ছাড়াও খেলাধুলোও করতেন। অর্থাৎ বেশির ভাগ সময়ই শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকতেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরচর্চা করলে পার্কিনসন্স রোগ কমে যাবে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। ব্যায়াম, যোগাসন পার্কিনসন্সের ওষুধ নয়। শরীরচর্চা করলে পার্কিনসন্সের ঝুঁকি কমে। শরীরচর্চার সঙ্গে পার্কিনসন্সের সম্পর্ক এখানেই।