মেদ ঝরাতে, শরীর থেকে ‘টক্সিন’ দূর করতে শরীরচর্চার পাশাপাশি নানা প্রকার ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকে। বিভিন্ন ধরনের ফল, ভেষজ, মশলা দিয়ে তৈরি এই পানীয়গুলি নিয়মিত খেলে, তা বিপাকহার উন্নত করে দেহের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তবে তাড়াহুড়োতে কাজে বেরোনোর সময়ে প্রায়দিনই এই সব জিনিস তৈরি করা সম্ভব হয় না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অফিসে যাওয়ার পথে একটি ডাব কিনে খেয়ে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়। গরমে তেষ্টা মিটবে, আবার মেদও ঝরবে।
ক্যালোরি কম
শরীরের বাড়তি ওজন ঝরাতে ক্যালোরি হিসাব করে খাবার খান। তেমনই পানীয়ের তালিকায় যোগ করতে পারেন ডাবের পানি। কারণ, এই পানীয়তে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি— দুয়ের পরিমাণই প্রায় শূন্য। তা ছাড়া, এই পানীয় মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
খনিজে ভরপুর
এই একটি পানীয়তে প্রাকৃতিকভাবে এত খনিজ রয়েছে, যা অন্য আর কিছুতেই নেই। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এবং ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাবের পানি থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজগুলি উচ্চ রক্তচার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
বায়ো এনজাইম
ডাবের পানি এমন একটি উৎসেচক রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে। পরিপাকতন্ত্রটি ঠিকভাবে কাজ করলে তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। ফলে ওজন ঝরানো সহজ হয়।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দেহের কোষগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডাবের পানি খাওয়া জরুরি। তাছাড়াও এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ত্বক এবং চুলের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
শরীর আর্দ্র রাখে
গরমে তেষ্টা মেটাতে শুধু পানি না খেয়ে ডাবের পানি খাওয়া যেতেই পারে। তেষ্টা মেটানোর পাশাপাশি, এই পানীয়তে থাকা খনিজগুলি শরীরে ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতেও সাহায্য করে ডাবের পানি।