বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরা স্বাভাবিক। কিন্তু কারও ক্ষেত্রে আবার ৩০-এর পর থেকেই চুল সাদা হতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরে মেলানিনের অভাব ঘটলে চুলের কালো রং ফিকে হতে শুরু করে। চট করে কালো রং করে ফেললে সমস্যার সমাধান হয় ঠিকই। কিন্তু তা সাময়িক। দেহে মেলানোসাইট কোষের পরিমাণ কমে যাওয়ার পিছনে আরও অন্য কারণ থাকতে পারে।
পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া
চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট এবং বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য থাকে এমন খাবার খাওয়া উচিত। দেহে মেলানিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেও একই ভাবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
ধূমপানের অভ্যাস
ধূমপানের সঙ্গে চুল পেকে যাওয়ার যোগ রয়েছে। অতএব, ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে বা ধূমপানের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারলে চুলে পাক ধরার গতি শ্লথ করা যেতে পারে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখা
চুল পেকে যাওয়ার একটি বড় কারণ হল মানসিক চাপ। ঘর-বাইরে কাজের চাপ তো থাকবেই। তা নিয়ে যদি মনের গভীরে উদ্বেগ বাড়তে থাকে, তা হলে চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখা
নিয়মিত মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলেও কিন্তু চুল পেকে যেতে পারে। তাই মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে নিয়মিত মাথা ধুয়ে নিতে হবে। শ্যাম্পু করা চুল যেন ঠিক ভাবে শুকায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
অতিরিক্ত রোদ লাগানো
ভিজে চুল শুকানোর জন্য রোদে মাথা রেখে বসে থাকতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মি লেগেও চুলের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। তাই চুলের ক্ষতি আটকাতে ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করাই ভাল।