নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর এই বাজারে রান্নার গ্যাস কিনতে কালঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের। মাসের বাজেটের একটা বড় অংশই চলে যাচ্ছে রান্নার গ্যাস কিনতে। তবে সহজ কয়েকটি নিয়ম মানলে অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি দিন চলবে একটা সিলিন্ডার। খুব ধীরে ফুরাবে গ্যাস যদি কয়েকটা সহজ নিয়ম মেনে চলা যায়।
ভেজা
রান্না করার আগে পাতিল ভালো করে মুছে নিন। পাতিল ভেজা থাকলে শুকোতে যে গ্যাস প্রয়োজন তা বাঁচবে।
তৈরি
রান্না শুরু করার আগে সবজি কেটে, মশলা তৈরি করে রাখুন। রান্না করতে করতে এগুলো করলে গ্যাস বেশি খরচ হবে।।
ডিফ্রস্ট
ফ্রিজ থেকে বের করেই রান্না করলে খাবার গরম হয়ে সেদ্ধ হতে বেশি গ্যাস খরচ হবে। তাই রান্নার আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ডিফ্রস্ট করে রাখুন।
আঁচ
বাসন গরম হয়ে যাওয়ার পর আঁচ কমিয়ে দিন। কম আঁচে রান্না করলে গ্যাস কম খরচ হবে।
ঢাকনা
রান্না করার সময় ঢাকনা লাগিয়ে রান্না করুন। এতে রান্না তাড়াতাড়ি হবে। গ্যাসও বাঁচবে।
প্রেসার কুকিং
প্রেসারে কুকারে রান্না তাড়াতাড়িও হয়, গ্যাসও কম খরচ হয়।
পানি
বেশি পানি দিয়ে রান্না করবেন না। এতে পানি টানতে সময় লাগবে, ফলে গ্যাস বেশি খরচ হবে।
মাইক্রোওয়েভ
অনেকেই বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ থাকা সত্তে¡ও প্রতিদিনের রান্নার জন্য গ্যাস বার্নার ব্যবহার করেন। খাবার মাইক্রোওয়েভে অর্ধেক সেদ্ধ করে গ্যাস ওভেনে কষালে তাড়িতাড়ি রান্না হবে।
থার্মাস বটল
যদি বেশি চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে বার বার গ্যাস ওভেনে জল গরম না করে থার্মাস বটল ব্যবহার করুন।
গ্যাস পাইপ
গ্যাস রেগুলেটর, পাইপ চেক করুন নিয়মিত। অনেক সময় সামান্য লিক থেকে গ্যাস নষ্ট হয়। রান্না হয়ে গেলে অবশ্যই সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করে রাখুন।