শুরু হল নতুন প্রজন্ম, ২০২৫ এ জন্ম গ্রহণকারীরা হবে জেন-বিটা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নতুন একটি বছর শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নতুন একটি প্রজন্ম। ২০২৫ সালে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশু হবে জেনারেশন-বিটা বা জেন-বিটা। জেন-বিটার এই পর্যায় চলবে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছর ধরে যেসব শিশু জন্মাবে, তারাই জেন-বিটা নামে পরিচিতি পাবে।

প্রজন্মের ধারণাটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিবর্তিত হয়, এবং একটি প্রজন্মের গড়ে ওঠা একটি বিশেষ পর্যায়ের ঘটনা। সাধারণভাবে, ২০ থেকে ২৫ বছর, অর্থাৎ দুই যুগের ব্যবধানে এক প্রজন্ম তৈরি হয়। যদিও এই সময়সীমা নির্ধারণে বিভিন্ন পরিসংখ্যান এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়, তবুও প্রযুক্তির অগ্রগতি, বিশ্বায়ন এবং সভ্যতার উন্নতি এই প্রক্রিয়ায় গভীর প্রভাব ফেলে।

বিজ্ঞাপন

অন্যান্য দেশে প্রজন্মের এই ধারণাটি বেশ আগে থেকে গড়ে উঠলেও আমাদের দেশে এটি ২০২৪ সালে ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে জেন-জি প্রজন্মের তরুণরা। আর এখান থেকেই মূলত প্রজন্মের এ ধারণাটি দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। জেন-জি হচ্ছে সেই প্রজন্ম যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হয়েছিল। আর হাসিনার পতনের পর দেশে বেশ জনপ্রিয় শব্দ হয়ে ওঠে জেন-জি শব্দটি।

জেন-জি'র পরের প্রজন্ম হলো জেনারেশন-আলফা। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যারা জন্মেছে তারা এই প্রজন্মের অন্তর্গত। তবে ২০২৪ সাল বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে জেন-আলফা যুগের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রোমান সংখ্যা দিয়ে গণনা শুরু হওয়া আলফা প্রজন্মের পর ২০২৫ সালে যে শিশুরা জন্ম নিবে, তারা হবে জেন-বিটা বা জেনারেশন বিটা। এ প্রজন্মের শিশুরা বেড়ে উঠবে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে। যাদের বাবা-মায়েরা মিলেনিয়াল অথবা জেন-জির শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া। বিটা প্রজন্মের মূল লড়াই হবে এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) সঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রজন্মকে শেখায় শেপ দেবে মূলত এআই। তাই তাদের সৃজনশীলতার অভাব থাকতে পারে। আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো ২২ শতককে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাবে।

সামাজিক বিশ্লেষক, জনসংখ্যাবিদ ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকক্রিন্ডেল বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ হবে এই জেন-বিটার মানুষ।

তিনি আরও বলেছেন, জেন-বিটা প্রজন্ম বিশ্বের জনসংখ্যায়ও ব্যাপক পরিবর্তন দেখবে। কারণ পৃথিবীতে এ মুহূর্তে জন্মহার কমে গেছে। অপরদিকে বেড়েছে আয়ুস্কাল। অর্থাৎ তাদের সময় বিশ্ব এতটা জনবহুল থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: সিবিসি নিউজ।