কাজের ব্যস্ততায় নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় পান না অনেকে পুরুষই। শরীরে কিছু অস্বস্তি হলেও সেগুলোকে তেমন গুরুত্ব দেন না। সমস্যা বাড়লে যখন চিকিৎসকের কাছে ছুটেন, তখন দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা বলেন, ৪০ পেরোলে শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বার্ধ্যক্যে সুস্থ থাকার পূর্বপ্রস্তুতি এই বয়স থেকে শুরু করা জরুরি। বয়স বাড়লে নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। সে সব সমস্যা এড়াতে ৪০-এর পর থেকে নিজেকে একটি নিয়মে বাঁধা জরুরি। শরীরে কোন লক্ষণগুলি বড় বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে, রইল তার হদিস।
বুকে ব্যথা
অনেক সময় বুকে ব্যথা হলে গ্যাসের ব্যথা ভেবে উপেক্ষা করেন অনেকে। তবে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ কখনই চেপে রাখা উচিত নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু বুকে ব্যথা হৃদ্রোগের উপসর্গ হয়, তাই এই লক্ষণ অবহেলা করার ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
শ্বাস নিতে কষ্ট
শ্বাসকষ্টও কিন্তু হৃদ্রোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজর (সিওপিডি) মতো সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের এ রকম কোনও সমস্যা হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
কোনও কারণ ছাড়াই ওজন বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে সতর্ক হোন। আকস্মিক ওজন কমে যাওয়া ক্যানসার, হাইপারথাইরয়েডিজম বা হজমজনিত রোগের লক্ষণ হতে পারে। অন্য দিকে, হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা বিপাকীয় সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ক্রনিক পেটের অসুখ
পুরুষদের পেটের সমস্যা নিয়েও কিন্তু সতর্ক হতে হবে। দীর্ঘদিন ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের মধ্যে রক্তপাত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যা ফেলে না রেখে সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত
বারে বারে প্রস্রাব পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত চোখে পড়লে তা কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এই লক্ষণগুলি মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, এমনকি প্রস্টেট ক্যানসারের ইঙ্গিত দিতে পারে।