বিবাহ হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাই এই সম্পর্ক স্থাপনের আগে অন্তত একবার মেয়েদের স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া খুব জরুরি। অথচ সেই কাজটাই করেন না অনেকে। নতুন সম্পর্কে যাওয়ার আগে শরীরের কিছু পরীক্ষা করানো জরুরি। জেনে নিন, ঠিক কী কী কারণে বিয়ের আগে মেয়েদের স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে যেতে বলা হয়।
ঋতুচক্রের ধরন বোঝা
অনেক নারীদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। তাই মাসের কোন সময়ে তাদের ওভিউলেশন (ডিম্বস্ফোটন) হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কোনও ধারণা থাকে না। বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইলে কিংবা সন্তানধারণ না করতে চাইলে ডিম্বস্ফোটনের সময় সম্পর্কে ধারণা থাকা ভীষণ জরুরি। স্ত্রীরোগ চিকিৎসক এ বিষয়ে নারীদের সাহায্য করতে পারেন।
ঋতুস্রাব এগিয়ে আনতে কিংবা পিছাতে
মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার সময়ে অনেকে ঋতুস্রাব এড়িয়ে চলতে চান। এই সময়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখে যে কোনও ওষুধ না খেয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
শারীরিক পরীক্ষা
অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা, শ্রোণিদেশের পরীক্ষা এবং একটি প্যাপ স্মিয়ার করনো জরুরি। এই সব পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া, জিনগত কোনও রোগ, যৌনরোগ আছে কি না, তা ধরা পড়বে। অনেকে পিসিওডির সমস্যায় ভোগেন, স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে গেলে সেটাও ধরা পড়বে।