আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে হঠাৎই সর্দি-কাশি বেড়েছে। এতে খুসখুসে কাশি হচ্ছে। কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করছে। কাশির ওষুধ খেলে ঘুম পাচ্ছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সমস্যা যদি খুব গুরুতর না হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ওষুধের ওপর নির্ভর না করে গরম পানির বাষ্প নিয়ে দেখা যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই তা ফল দেয়। শ্বাসযন্ত্র সামগ্রিকভাবে ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী এই টোটকা।
বুকে জমা কফ দূর করে
ঘামে ভেজা জামা পরে বা বৃষ্টিতে ভিজে যদি বুকে কফ জমে, তা সহজেই দূর করা যায় গরম পানির বাষ্প নিয়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালি দিয়ে প্রবেশ কার মাত্রই শ্লেষ্মা পাতলা হতে শুরু করে। ফলে বুকে চাপ কম অনুভূত হয়। বুকের মধ্যে ঘড়ঘড় আওয়াজও কমে।
সাইনাসে আরাম দেয়
কপালের মাঝে মাইনাস গ্রন্থিতে সর্দি জমলে তা-ও সহজে বাইরে বার করে আনতে পারে গরম বাষ্প। মাথা ভার লাগা, মাথার এক পাশে যন্ত্রণা হওয়া বা সাইনাস টিস্যুর প্রদাহজনিত সমস্যায় আরাম দেয় গরম পানির বাষ্প। এ ছাড়া বন্ধ নাক খুলতেও সাহায্য করে।
গলাব্যথা কমায়
ঠান্ডা লেগে অনেকেরই গলায় ঘা হয়। কিছু খেতে গেলে অস্বস্তি হয়। ঘুম থেকে ওঠার পরেই গলায় কাঁটার মতো কিছু বেঁধে। এই সমস্যা থেকেও আরাম দিতে পারে গরম পানির বাষ্প।