কাজে মনোযোগ বসে না? হয়ে পড়েন অধৈর্য্য? টানা কাজ করতে গিয়ে বিরক্ত? আজ (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব মনোসংযোগ দিবসে জেনে নেওয়া যাক কজের বিরক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখার উপায়। একই সাথে জানব কাজকে আনন্দদায়ক করে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে তা সম্পন্ন করার কিছু কৌশল।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সবাইকেই কোনো না কোনো কাজ করতে হয়। কারো ক্ষেত্রে সেটার পরিমাণ বেশি, কারো কিছুটা কম। এই কম-বেশির কাজটা যখন অগোছালো আর বিক্ষিপ্তভাবে হয়, তখন জেঁকে বসে রাজ্যের বিরক্তি আর অশ্বস্তি। মনোযোগের সাথে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে একদিকে যেমন কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, তেমনি কর্মক্ষেত্রেও সফলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সমস্যাটা হয় এই কাজ করতে গিয়ে যখন নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকে না। এটা সত্য যে সব কাজ পরিকল্পনা মাফিক করা যায় না, কিংবা পরিকল্পনা করার মতো যথেষ্ঠ সময়ও সর্বদা মেলে না। তবে তাৎক্ষণিক নেওয়া ছোট্ট পরিকল্পনা আপনার কাজের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিতে পারে শতগুণ।
সঠিকভাবে মনোসংযোগ করতে পারলে তা আপনার কাজকে করবে প্রাণবন্ত। কাজের মধ্যে খুঁজে পাবেন স্বতঃস্ফূর্ততা। আর এজন্য প্রয়োজন….
পরিকল্পনা: একটি পরিকল্পনা আপনার কাজের অর্ধেক সফলতা এনে দেয়। আমরা অনেকে পরিকল্পনা করাকে কাজের অংশ বলে মনে করি না। অনেকে এটাকে ভাবেন অহেতুক সময়ের অপচয়! অথচ পরিকল্পনা একদিকে যেমন সফলতায় অবদান রাখে তেমনি কমিয়ে আনে কাজের সময়ও। তাই কাজ করার পূর্বে প্রয়োজন সুন্দর একটি পরিকল্পনা করে নেওয়া।
একসঙ্গে একাধিক কাজ: অনেকে নিজেকে ওভারস্মার্ট প্রমাণ করতে একসঙ্গে একাধিক কাজ শুরু করেন। শেষে দেখা যায় কোনো কাজই সফলভাবে হয়নি। তাই একসঙ্গে একাধিক কাজ শুরু না করে তালিকা তৈরি করে কাজ করা উচিত। গুরুত্বানুসারে কাজের পর্যায়ক্রম সাজাতে হবে। একটি কাজে হাত দিলে তা সম্পন্ন না করে নতুন কাজে হাত দেওয়া যাবে না। অন্যথায় উভয় কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।
কাজের বাধা: কাজ করার ক্ষেতে নানান বাধা চলে আসে। একটি ফোনকল আপনার কাজের মনোযোগ পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে। তাছাড়া রয়েছে পারিপার্শিক দিকগুলো। এছাড়া কাজের বড় বাধা হয় মানসিক চাপ। কাজের সময় এসব বিষয়কে যতটা দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন, কাজও তত দ্রুত সম্পন্ন হবে।
বিরতি: বিজ্ঞান বলে মানব মস্তিষ্ক একটানা ২০-৩০ মিনিটের বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। কাজের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরী। কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিন। তা হতে পারে বারান্দা থেকে হেঁটে আসা কিংবা এককাপ কফি। তবে এই বিরতিটার সময়টা যেন মোবাইল বা ফেসবুকে ব্যয় না হয়।
ঘুম: বেঞ্জামিন ফ্রাংক্লিন বলেছিলেন, 'তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা একজন মানুষকে স্বাস্থ্যবান, জ্ঞানী এবং সম্পদশালী বানায়।' রাতে ভালো ঘুম না হলে দিনের কোনো কাজেই মনোযোগ বসবে না। ঘুমের মাধ্যমে মস্তিষ্কের যে বিশ্রাম হয় তা সারাদিনের ক্লান্তিকে দূরে রাখতে সক্ষম।