ত্বকে জেল্লা আনতে আমরা কত কিছুই না করি। পার্লারে গিয়ে ফেশিয়াল, স্পা তো আছেই। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বা়ড়িতেও চলে ঘরোয়া রূপচর্চা। তবে ত্বকে তাৎক্ষণিক জেল্লা আনতে কিন্তু বাজারচলতি প্রসাধনীই শেষ কথা নয়। বরং জীবনযাপনে আনতে হবে বদল। কিছু অভ্যাস থেকে যদি দূরে থাকা যায়, তা হলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে পরিশ্রম করতে হবে না।
>> রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া রূপ রুটিনের একটি বড় অংশ। কিন্তু অনেকেই তা করেন না। সারা দিন ধরে ত্বকের কোষে ধুলোবালি জমতে থাকে। সেগুলি দীর্ঘক্ষণ ত্বকে থেকে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে এবং রাতে শোয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়াটা জরুরি। তবে শুধু ফেসওয়াশ ব্যবহার করলেও হবে না। সঙ্গে ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করতে হবে ভাল করে।
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ত্বকে জেল্লা আনতে অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও পড়ে। রাতে কোলাজেন তৈরি করে ত্বক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চোখের নীচের কালো দাগছোপের কারণও ঘুম না হওয়া। ত্বক ভাল রাখতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
>> সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ বেশি। অত্যধিক ধূমপানের কারণে নিকোটিন ত্বকের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। নিকোটিন ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি কোলাজেন এবং প্রোটিন তৈরি হতে দেয় না। ধূমপান অকাল বার্ধ্যক্যের কারণ হতে পারে।
>> পানি কম খেলেও তার প্রভাব পড়তে পারে ত্বকে। জেল্লাদার ত্বকের রহস্য হল পানি। শরীরে পানির পরিমাণ বেশি থাকলে ত্বকও ভিতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে।
>> ত্বকে জেল্লা আনতে সুষম খাবার খাওয়ার দিকেও বাড়তি জোর দিতে হবে। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। শাকসবজি, ফলমূলে পুষ্টিগুণের অভাব নেই। ত্বকের খেয়াল রাখতে হলে ফল, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতেই হবে।