প্যারিসকে বিশ্বের ফ্যাশন জগতের শিরোমনি বলা হয়। প্রায় সব বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রধান শাখা ফ্রান্সের প্যারিসেই অবস্থিত। সেই ব্র্যান্ডগুলোর নতুন সব কালেকশন আত্মপ্রকাশ করার জন্যই বছরে একাধিকবার ‘প্যারিস ফ্যাশন উইক’ আয়োজিত হয়।
বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পাশাপাশি পুরো বিশ্ব থেকে ডিজাইনার, মডেল, সেলিব্রিটিরা এখানে জড়ো হন। তাই ফ্যাশন প্রিয়দের নজর থাকে প্যারিস ফ্যাশন উইকের দিকে। বাংলাদেশ থেকে সেভাবে এই সম্মানজনক আয়োজনে কেউ যেতে পারে না। অতি সম্প্রতি দু একজন মডেল শুধুমাত্র নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়েছেন। তবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফ্যাশন ডিজাইনার তাসমিম জোবায়ের পর পর দুই বছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে তার পোশাকের কালেকশন প্রকাশ করছেন।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সত্যি খুব সৌভাগ্যবান। পর পর দুই বছর আমার পোশাক প্যারিস ফ্যাশন উইকের মতো স্বর্গরাজ্যে স্থান পেয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের মডেলদেরও তাতে যুক্ত করার ইচ্ছা রয়েছে।’
তাসমিম জোবায়ের একজন এশিয়ান-ইউরোপীয় ভিত্তিক বাংলাদেশি প্রতিভাবান ফ্যাশন ডিজাইনার। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশব কেটেছে ভারতের দার্জিলিংয়ে। সেখানে একটি ডিজাইন স্কুলে তিনি পড়াশুনা করেছেন। কারণ ছোটবেলা থেকেই তার ফ্যাশনের প্রতি অনুরাগ ছিল। ২০১৮ সালে তিনি দুবাইয়ে - তার প্রথম বুটিক খোলেন। তাসমিম অতি দ্রুত দুবাইয়ের অন্যতম ডিজাইনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ২০১৯ সালে তাসমিম জোবায়ের দুবাই আন্তর্জাতিক ফ্যাশন সপ্তাহে তার আন্তর্জাতিক আত্মপ্রকাশ উদযাপন করেছিলেন। দুই বছর পর প্রথমবারের মতো তিনি প্যারিস ফ্যাশন উইকে তার ডিজাইন করা পোশাকের ফ্যাশন শো করার সুযোগ পান। এটি ছিল তার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা। আর এ বছর সদ্য শেষ হওয়া প্যারিস ফ্যাশন উইক স্প্রিং-সামারেও অংশ নেন এই মেধাবী ডিজাইনার। ওয়েস্টিন প্যারিস ভেন্ডোমে ‘তাসমিম জোবায়ের স্প্রিং সামার ২০২৩’ কালেকশনের আত্মপ্রকাশ করেন।
তার প্রতিটি ডিজাইন অনন্য সৃষ্টি প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠত্ব এবং সৌন্দর্যকে সংজ্ঞায়িত করে। আজ ১০০ জনেরও বেশি গতিশীল এবং নিবেদিত কর্মী তাসমিম জোবায়ের ফ্যাশন হাউসের সাফল্যে ক্রমাগত অবদান রাখছে। এখন ফ্যাশন বিশ্ব জানে তাসমিম জোবায়ের কী করতে সক্ষম!