বলা হয়ে থাকে- আমরা ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। বাঙালিদের প্রায় সবাই সাধারণত মাছ খেতে পছন্দ করেন। মাছ নিয়ে আছে আমাদের অনেক কৌতূহল। ছোটবেলার কাঁটার ভয়ে আমাদের অনেকেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে ছোট মাছ। কিন্তু এই ছোট মাছ সাধারণত বেশি স্বাস্থ্যকর। কেননা, ছোট মাছই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বৃদ্ধি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট মাছ নিয়মিত খেলে চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে আছে- প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সাধারণত ছোট মাছ কাঁটাসহ খাওয়া হয়। এই কাঁটার মধ্যে কয়েক ধরনের খনিজ ও ভিটামিন থাকে। কিন্তু বড় মাছের কাঁটা বেছে ফেলে দেওয়া হয় বিধায় কাঁটার মধ্যে থাকা খনিজ আর ভিটামিন পাওয়া যায় না।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমে পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার বলেছেন, ‘নিয়মিত ছোট মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়বে। ছোট মাছের মাথা বেশি উপকারী। এর মধ্যে বিদ্যমান কিছু ফ্যাট চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এসব মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ। এই ভিটামিন চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা প্রোটিন চোখের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। ছোট মাছে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চোখের জ্যোতি বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।’
শুধু চোখের জ্যোতিই নয়, নিয়মিত ছোট মাছ খেলে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। ছোট মাছে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাড়ায় স্মৃতিশক্তিও। তাই চিকিৎসকেরা সবাইকে নিয়মিত ছোট মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সুস্থ-সবল জীবন কাঁটাতে খাওয়ার সময় নিজের পছন্দ মতো যে কোনো মাছ খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
এছাড়াও নিয়মিত ছোট মাছ খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে:
ছোট মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন খুব সহজেই শরীর গ্রহণ কর। এছাড়াও অনেকেই কম বয়সে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় ভূগছেন। এ ধরনের সমস্যায় পড়লে সামান্য হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়। এ কারণে যেভাবেই হোক হাড়ের জোর বাড়তে হবে। এই কাজে সাহায্য করবে ছোট মাছ। তাই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ও হাড়কে মজবুত করতে চাইলে নিয়মিত ছোট মাছ খেতে হবে।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ হলো- ছোট মাছে রান্নায় বেশি তেল-মসলা যোগ করা যাবে না। এতে মাছে মজুত থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়েযায়। ফলে মাছ খেয়েও উপকার পাওয়া যাবে না।