সানস্ক্রিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য উপাদান। বলা হয়ে থাকে সানস্ক্রিন হচ্ছে আমাদের ত্বককে রক্ষা করার হাতিয়ার। ঋতু, ত্বকের ধরণ যেমনই হোক না কেন, সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত নয়। এমনকি বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। সানস্ক্রিনের সান প্রিভেন্টিভ ফ্যাক্টর বা এসপিএফ আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। অতিরিক্ত দূষণ ও কড়া রোদের হাত থেকে বাঁচতে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে মুখের ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। আবার অনেকের মুখে সানস্ক্রিন মাখার পর প্রচুর ঘাম হয়। চলুন জেনে নেই কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় এসপিএফ দেখে নিবেন। অনেকেই মনে করেন যে, বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান রোধ করা যায়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। সব সময় আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এসপিএফ নির্ধারণ করুন। নিজের ত্বক্বের ধরণ বুঝে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এতে ঘাম কম হবে।
২) নতুন কোনও ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে দেখবেন ত্বকে অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।
৩) সানস্ক্রিন মাখার আগে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। পানি শরীরের রোমকূপকে ঠান্ডা রাখবে, আবার সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের ঘনত্বকেও অনেকটা লঘু করে দেবে। ফলে ঘাম কম হবে।
৪) বাইরে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। এরপর ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ভাল থাকবে।
৫) ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে খুব বেশি ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে সোয়েট ফ্রি কিংবা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষাও পাবে, আর ঘামও হবে না।