সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়! তবে এর জন্য নারী-পুরুষ সবারই একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে তো যত্ন আরও বেশি দরকার। কারণ, এই ঋতুতে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকে না।
শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেখা দেয় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। ত্বকের অমসৃনতা ও এবং শুষ্ক দাগ এড়াতে ত্বককে ময়শ্চারাইজড এবং পুষ্ট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখার্জি লিখেছেন, ‘খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক প্রতিকারক ব্যবহার করা শুষ্ক ত্বক নিরাময়ের একটি গোপন প্রক্রিয়া। চলুন প্রকৃতির সে উপাদানগুলো আবিষ্কার করা যাক, যা শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।’
ত্বক শুষ্ক রাখার জন্য তিনি কয়েকটি টিপসও শেয়ার করেছেন-
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা পাতার ভিতর থেকে বের করা জেল চুলকানি, শুষ্কতা, লালভাব এবং ফোলা নিরাময় করতে পারে৷ প্রকৃতিতে পাওয়া একটি প্রশান্তিদায়ক উপাদান এটি।
ইভনিং প্রাইমরোজ তেল: এই তেলে গামা লিনোলেনিক অ্যাসিডের মতো ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ইভিনিং প্রাইমরোজ অয়েল ত্বকের টোন বৃদ্ধিকারী এবং শুষ্কতার সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে।
হলুদ: হলুদে ব্যথা-প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ত্বকের চুলকানি এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
শণের বীজ: প্রতিদিনের খাবারে গুঁড়ো শণের বীজ অন্তর্ভুক্ত করা ব্রণ, একজিমা এবং শুষ্কতার সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে।
ভিটামিন ই: ভিটামিন ই একটি সুপরিচিত শুষ্ক ত্বকের প্রতিকার। টানা এক মাসের জন্য ভিটামিন ই ৪০০আইইউ -এর দৈনিক ডোজ ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় অভঅবনীয় কাজ করতে পারে।