চুলের জেল্লা বাড়াতে কখনও হেয়ার সিরাম, তো কখনও ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক, কোনও কিছুই তো বাদ যায় না কিন্তু গোড়াতেই যে রয়েছে সব গন্ডগোল। তাই তো এত টাকা খরচ করেও চুলের বেহাল অবস্থা আর ফেরে না। কোথায় ভুলটা হচ্ছে জানেন কি?
সাজগোজের অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো চিরুনি। বাজারে হরেক রকম চিরুনি রয়েছে। এর ভিতর থেকে বেছে নিতে হবে চুলের ধরন ও ব্যবহার উপযোগী চিরুনিটি। অথচ আমরা অনেকেই জানি না চিরুনির ব্রাশের আকার ও দাঁতের ধরনের ভিন্নতা রয়েছে। সঠিক চিরুনি বাছাইয়ে আপনার চুল যেমন পরিপাটি করা সম্ভব তেমনি চুলের আগা ফাটা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
চিরুনি কিনতে হবে চুলের ধরন দেখে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন চিরুনি কি কাজ করে -
১) নরমাল ব্রাশ
প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য রয়েছে নরমাল কিছু চিরুনি যেগুলো অনেক আকারের পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে চুল দেখায় কোমল ও মসৃণ।
২) প্যাডল ব্রাশ
চুলে কি খুব জট পড়ে? তা হলে আজ থেকেই প্যাডেল ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ানো শুরু করুন। দেখবেন জট তো ছাড়বেই সঙ্গে হেয়ার ফলের মাত্রাও কমবে।
৩) চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি
নামেই বোঝা যাচ্ছে, এই চিরুনিটির দাঁতগুলো ফাঁকা ফাঁকা যা চুলের জট ছাড়ায় এবং চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পুরো মাথায় ছড়িয়ে দিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সব ধরনের চুলের জন্য বিশেষত জট ছাড়াতে কার্যকর।
৪) ডিট্যাঙ্গল ব্রাশ
চুলের জট ছাড়াতে এই হেয়ার ব্রাশ বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো নানা কারণে যাঁদের চুলে খুব জট পড়ে তাদের কালেকশনে প্যাডেল ব্রাশের পাশাপাশি ডিট্যাঙ্গল ব্রাশ থাকাটাও জরুরি।
৫) রাউন্ড ব্রাশ
চুল ব্লো ড্রাই করতে এ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। এই ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল ফেঁপে ওঠে। এ ছাড়া এই ব্রাশ দিয়ে চুল ভেজা অবস্থায় কোঁকড়া করা যায়।
৬) টেল ব্রাশ
বাইরে চুল আঁচড়ানোর জন্য অনেক সময়ে পকেটে বা ব্যাগে ছোট চিরুনি রাখেন। সে রকম ছোট সাধারণ চিরুনির মতোই দেখতে এই বিশেষ চিরুনিটির পিছনে শুধু লেজের মতো সরু একটি কাঠি থাকে। চুলের নানা রকম স্টাইল করতে গেলে, চুলে সিঁথি কেটে চুল ফুলিয়ে রাখতে হয়। তখন এই চিরুনি কাজে লাগে।