গুড় বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ খাবার উপকরণ। বাংলাদেশে কয়েক ধরনের গুড় আমরা সচরাচর দেখে থাকি। তার ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো খেজুরের গুড়, আখের গুড় এবং তালের গুড়। এছাড়া বাংলাদেশের বাগেরহাটের সুন্দরবন এলাকার গোলপাতার গুড়ও পাওয়া যায়।
প্রকৃতিতে বইছে শীতের আমেজ। এই শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি নামডাক খেজুরের গুড়ের। খেজুরের গুড় বাংলাদেশের ভেতর সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ। ভোরবেলা থেকে শীত গাছিদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সকালে খেজুরের রসের ভাড় নামিয়ে আনে গাছিরা। তারপর শুরু হয় গুড় প্রস্ততের কর্মযজ্ঞ।
খেজুরের রস জ্বালিয়ে একসময় তৈরি হয় মিষ্টি সুস্বাদু গুড়। মিষ্টি এই গুড়ের আছে অনেক গুণাগুণ। গুড় যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় তার এর উপকারিতা বেশি।
চিনির বিকল্প হিসেবে গুড়ের জুড়িমেলা ভার। এই গুড় আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। গরমে যেমন শসা ও তরমুজ আমাদের শরীরকে শীতল করে। বিপরীত ভাবে গুড় আমাদের শরীরকে করে তোলে উষ্ণ। পুষ্টিবিদরা চিনির বদলে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জেনে নিন শীতের সময়টাতে গুড় খাওয়ার উপকারিতা-
১) গুড় শরীরে তাপমাত্রা উৎপাদন ও ধরে রাখতে সহায়তা করে। গুড়ে রয়েছে ক্যালোরিফিক, যা শীতের সময় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
২) গুড় শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ঠাণ্ডা, কাশি প্রতিরোধ করে।
৩) গুড় লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং পটাসিয়ামের খুব ভালো উৎস। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
৪) গুড় গলার অভ্যন্তরের সংক্রমণ দূর করতে খুবই কার্যকরী। অনেক দিনের পুরনো কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে গুড় আপনাকে সহজেই মুক্তি দেবে।
৫) এছাড়াও গুড় রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬) গুড় শ্বসনতন্ত্র, পেট, অন্ত্র, ফুসফুস এবং খাদ্যনালীর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।